ভারতে সব থেকে ধনী পরিবারের বউ নীতা আম্বানী অনেক সময়েই নানারকম চর্চায় এসে থাকেন ।তাঁর দামী শাড়ি,এবং তিনি যে চা খান সবকিছুই এত দামী যে তা সাধারণভাবেই খুব সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ।কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, ভারতের এই ধনী পরিবারের বউ নীতা আম্বানি বিয়ের আগে ৮০০ টাকার একটি চাকরি করতেন ।আর তাঁর থেকেও মজার বিষয় হল মুকেশ আম্বানি আর নীতা আম্বানীর বিয়ের ব্যাপারটা। মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরু ভাই আম্বানী যখন নিজের বড় ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গরীব পরিবারের মেয়ে নীতা আম্বানীর বাড়িতে যান তখন নীতা আম্বানি মুকেশকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে একটি শর্ত রাখেন ।আসুন আজ আমরা সেই বিশেষ একটি শর্ত নিয়ে কথা বলব যা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।
সবাই একটা কথা বলে থাকে যে, ভগবান নাকি একে অপরের জোড়ি উপর থেকে ঠিক করেই পাঠায়। মুকেশ আম্বানি আর নীতা আম্বানীর বিয়ের ঘটনাটা কিন্তু অনেকটা এরকমই। আসলে ধিরুভাই আম্বানী একটি অনুষ্ঠানে এই নীতা আম্বানীকে দেখে তাকে নিজের বাড়ির বড় ছেলের বউ বানাতে চায়।আসলে ব্যাপারটা হল, সেই সময় নীতা আম্বানির বাবা বিরলা গ্রুপে চাকরি করতেন, এবং তখন সেখানে একটি অনুষ্ঠান হয় যেখানে নীতা আম্বানি ভরট নাট্যাম নেচে ছিলেন ।সেই অনুষ্ঠানে নীতা আম্বানির নাচ দেখে তাঁকে খুব পছন্দ হয় ধিরু ভাই আম্বানীর ।আর তখনই নীতাকে নিজের বড় ছেলের বউ করার কথা ভাবেন ধীরুভাই। তখন ধীরু ভাই তখন নীতা আম্বানির মোবাইল নাম্বার বার করে কথা বলে তাঁর বাড়ির লোকের সাথে দেখা করে ।
যখন ধিরুভাই আম্বানী নীতা আম্বানীর বাড়িতে ফোন করলে নীতা আম্বানি ফোনটি তোলেন, তখন ধীরুভাই আম্বানি নীতিকে নিজের পরিচয় দেন ,নীতা আম্বানী তখন তাঁর কথা বিশ্বাস না করে তিনিও মজা করে তাঁকে বলেন আমি এলিজাবেথ বলছি ।কারন তখন তিনি ভবেছিলেন কেউ হয়ত তাঁর সাথে রসিকতা করছে, তাই তিনি তখন ফোন কেটে দেন, ধীরুভাই আম্বানি ফের ফোন করলে তখন নীতা আম্বানির বাবা ফোন তোলেন এবং তিনি ধীরুভাই আম্বানির গলার ভয়েস বুঝতে পারেন।
ধীরুভাই আম্বানির পুরো কথা শোনার পর নীতা আম্বানির বাবা নীতাকে অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ধিরু ভাই আম্বানীর সাথে দেখা করার জন্যে রাজি করান। ধিরু ভাই আম্বানির সাথে কথাবার্তা বলার সময় ধীরুভাই নীতা আম্বানীর সমস্ত কিছু জিজ্ঞেস করেন এবং তাঁকে নিজের বড় ছেলে মুকেশ আম্বানির সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা তাঁকে জানান।
ধীরু ভাই নীতা আম্বানির বাড়ির লোকের সামনে এই বিয়ের প্রস্তাব রাখেন।তারপর যখন নীতা আম্বানি মুকেশের বাড়িতে যায়, তখন একদিন মুকেশ আম্বানী দরজা খোলে আর সে তাকে চিনতে পেরে যায়। আর তাঁর পর তাঁরা নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে যেতে থাকে।
এই দেখা হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মুকেশ আর নীতা একসাথে ডেটে যাওয়া শুরু করেন। আর তারপর তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখা হলে সে জানায় সে একটা শর্তেই মুকেশকে বিয়ে করতে পারবে। আর তাঁর সেই শর্ত ছিল বিয়ের পর সে নিজে স্বাধীন ভাবে থাকবে।
একজন সাধারন মানুষের মতোই সে নিজের কাজ করবে ।আসলে নীতা আম্বানী ৮০০ টকা বেতনে একটি স্কুলে বাচ্চা দের পড়াতেন। আর তাঁর বাচ্চাদের পড়ানোর খুব সখ ছিল তাই সে এরকম একটি শর্ত রেখেছিল। আর তাতেই মুকেশ আম্বানী রাজি হয়ে যায় ।আর তাঁরা এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।