জুমবাংলা ডেস্ক : বিভিন্নস্থানে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আহত হয়ে একদিনেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরের মহমায়া এলাকার বাসেদ পাটওয়ারী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ মত্যুবরণ করেন। তিনি ওই এলাকার মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বমোট ৯ জন বিষাক্ত সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এরা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার দীঘলদী গ্রামের আব্দুল কাদের ছেলে সাগর (৩৪), সাপদী গ্রামের মৃত নেওয়াজের ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৬), দক্ষিণ বালিয়া বাখরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৩২), মতলব দক্ষিণ বড়দিয়া আড়ং বাজারের কাদিরের ছেলে সাগর (৩০), ফরাক্কাবাদ গুলিশা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আমিন (৫২), বাবুরহাট এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২০), চাঁদপুর সদরের সফরমালি দাসাদি গ্রামের সেলিমিয়ার স্ত্রী শাহানা (৫৭), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের শাহজান মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫) ও মতলব উপজেলার ওমর গাজী (৩২)।
এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, বাসেত পাটোয়ারী ও শাহানা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিরা হাসপাতাল থেকে বিষাক্ত সাপের এন্টিভেনম ভ্যাক্সিন নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণকারী বৃদ্ধ বাসেদ পাটওয়ারীকে বিষাক্ত সাপে কাটার পর স্বজনরা চিকিৎসার জন্য দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বেলাল আহমেদ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে আইসিওতে ভর্তি করান। সেখানে নেয়ার পূর্বেই চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সাপে কাটা রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, তাদের বিভিন্নজনের বাড়ির রান্নাঘর ও পুকুরে এবং বাড়ির পাশের ক্ষেতে কাজ করার সময় তাদেরকে বিষাক্ত সাপে কাটে। কিন্তু কি জাতের সাপ ছিল তারা তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।