জুমবাংলা ডেস্ক: দুর্গম চরে স্ত্রীর কাছ থেকে অসুস্থ মেয়েকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করে আল আমিন। এরপর গলায় ওড়না পেচিয়ে স্ত্রীকেও হত্যা করে নরপশু স্বামী।
রিমান্ডে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দির আল আমিন (২৮)। তার ছয় বছরের শিশু রুমানা খাতুন ও স্ত্রী শেফালী বেগমকে (২৪) হত্যা করে।
এরই মধ্যে দুর্গম চরে জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
পাঁচ দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার রাতে আল আমিন বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরের আল আমিন প্রায় আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে শেফালী বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী শিশু রুমানা খাতুন ছিল। আল-আমিন চরে মোটরবাইকে যাত্রী পরিবহণ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
তবে সে তার আয়ের কোন অংশ সংসারে দিত না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। শেফালী বেগম তার অসুস্থ শিশু রুমানাকে চিকিৎসা দিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে পার্শ্ববর্তী ধারাবর্ষা চরে সাত্তার মেম্বরের গুচ্ছগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বিকালে পথিমধ্যে শংকরপুর চরে রাস্তার পাশে একটা ভুট্টাক্ষেতে মা ও মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।