জুমবাংলা ডেস্ক : নামাজের জন্য আজান-ইকামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুটিই ইসলামি শরিয়তের বিধান। পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজ আদায়ের জন্য পুরুষদের ওপর আজান ও ইকামত দেয়া ফরজে কিফায়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের সময় হয়, তখন তোমাদের একজন যেন আজান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করেন।
এ থেকে প্রমাণিত হয়, আজান ফরজে কিফায়া। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, মুতাওতির হাদিসে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়া হতো। এটা উম্মতের ইজমা এবং তাদের আমলের পরম্পরা দ্বারা প্রমাণিত। (শারহুল উমদা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৯৬; ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া, খণ্ড: ২২, পৃষ্ঠা: ৬৪)
নির্দিষ্ট শব্দের মাধ্যমে নামাজ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয়া হলো ইকামত। অতএব আজান হচ্ছে নামাজের সময়ের ঘোষণা দেয়া। আর ইকামত হচ্ছে নামাজ শুরুর ঘোষণা দেয়া। ইকামতকে দ্বিতীয় আজান বা দ্বিতীয় আহ্বানও বলা হয়। (শারহুল উমদা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৯৫)
ঘরে একাকী ফরজ নামাজ আদায় করলে ইকামত দেয়া উত্তম। না দিলে অসুবিধে নেই। এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। তাবেয়ি আতা (রহ.) বলেন, ‘যদি ঘরে নামাজ আদায়কারী ইকামত দিয়ে নেয়, তবে তা উত্তম। আর যদি ইকামত না দেন, তাও ঠিক আছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ২৩০১)
ঘরে একাকী ফরজ নামাজ আদায় করলে আজান দিতে হবে না বরং এলাকার মসজিদের আজানই যথেষ্ট। তাবেয়ি ইকরিমা (রহ.) বলেন, ‘ঘরে নামাজ আদায় করলে মহল্লার মুয়াজ্জিনের আজানই যথেষ্ট।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা : ২৩০৫; তাবয়িনুল হাকায়েক, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৫১; রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৯৫)
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel