আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন আজ (বুধবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশ আবারও এক-চীন নীতিকে সমর্থন করার কথা বলেছে। তারা এক-চীন নীতিতে অবিচল থাকবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার চীনের কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে একযোগে জাতিসংঘ সনদের নীতি এবং আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায় চীন। পাশাপাশি, ন্যান্সি পেলোসির এহেন আচরণ সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথার বরাত দিয়ে ওয়াং ওয়েন পিন বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সবচেয়ে নতুন বক্তব্য হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার উচ্চ মানের কৌশলগত সমন্বয়ের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এক-চীন নীতি মেনে চলার তাগিদ দেয় চীন। ‘সতেরো আগস্ট ইস্তাহার’, ‘শাংহাই ইস্তাহার’; ও ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা বিষয়ক ইস্তাহার’ হচ্ছে চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি। তাদের মৌলিক বিষয় হচ্ছে এক-চীন নীতি। তিনি আরও বলেন, এক-চীন নীতি হচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আদানপ্রদান পুনরুদ্ধার ও সম্পর্ক উন্নয়নের রাজনৈতিক ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আসছে এবং এক-চীন নীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। তা অবশ্যই দু’দেশের আস্থাকে গুরুতরভাবে নষ্ট করবে।
‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন একটি মৌলিক স্থানে রয়েছে। এক-চীন নীতি নষ্ট করার কার্যক্রম হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। চান আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আবারও চীন-মার্কিন তিনটি ইস্তাহারে ফিরে আসতে পারবে এবং এক-চীন নীতি মেনে চলবে,’ ওয়েন পিন যোগ করেছেন।
সূত্র: চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।