জুমবাংলা ডেস্ক : শেয়ারদামের কারসাজি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ভারতের হিমাচল প্রদেশভিত্তিক এলএস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রোমোটার প্রোফাউন্ড ফাইন্যান্সসহ পাঁচটি সংস্থাকে শেয়ারবাজারে লেনদেন থেকে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড (এসইবিআই)।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুবাইভিত্তিক এনআরআই বিনিয়োগকারী জাহাঙ্গীর পানিক্কাভিট্টিল পেরুম্বারামবাথু, যিনি “জেপিপি” নামে পরিচিত।
এসইবিআইর তথ্য অনুসারে, এলএস ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার বিক্রি করে জেপিপি ১ কোটি ১৪ লাখ রুপি লাভ করেছেন। তিনি কোম্পানির ১০ কোটি ২৮ লাখ শেয়ার মাত্র ১ ডলারে কিনেছিলেন।
কোম্পানিটির রাজস্ব প্রায় শূন্য থাকা সত্ত্বেও এক সময় শেয়ার মূল্য বেড়ে যায়। বর্তমানে জেপিপির কাছে থাকা শেয়ারগুলোর বাজারমূল্য ৬৯৮ কোটি রূপিতে পৌঁছে গেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, এরপর এলএস ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মূল্য কৃত্রিমভাবে বাড়াতে শুরু করে এবং কোম্পানির সাবেক পরিচালক সুয়েক মেং চায় জেপিপির কাছে ১ ডলারের বিনিময়ে ১২.১২ শতাংশ শেয়ার স্থানান্তর করেছিলেন, যা পরবর্তীতে বিশাল মূল্যে বিক্রি হয়।
এসইবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, জেপিপির শেয়ার কেনাবেচার কার্যক্রমের সময় শেয়ারমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড় যায়। ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যখন শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ছিল (২৬৭.৫০ রুপি), তখন জেপিপি ব্যাপক পরিমাণে শেয়ার বিক্রি করেন। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে যে, তার শেয়ার বিক্রির সময় ও মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে কোনো যোগাযোগ বা কৌশল ছিল কি না।
এসইবিআইর কর্মকর্তা আশ্বিনী ভাটিয়া বলেছেন, এলএস ইন্ডাস্ট্রিজ ও এর উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি একটি প্রতারণামূলক চক্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে। বর্তমানে এই ঘটনাটি জনশ্রুতির কেন্দ্রে এবং এসইবিআই আরও গভীর তদন্ত চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।