জুমবাংলা ডেস্ক : গেল মার্চ মাসে একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালিয়ে বিদ্যুতের বিল এসেছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা। এমন ভুতুড়ে বিল এসেছে মাগুরার মহম্মদপুরের পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে। পল্লী বিদ্যুতের এমন বিলে হতবাক পরিবারটি।
মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের বাসিন্দা পবিত্র কুমার বিশ্বাস। তার ওই বাড়িতে শুধুমাত্র বৃদ্ধ মা থাকায় পুরো মার্চ মাসে ব্যবহৃত হয়েছে একটি ফ্যান ও একটি বাতি। অথচ ওই মাসেই বিদ্যুৎ বিল এসেছে পৌনে ৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ওই উপজেলার বেশিরভাগ মিটারে বিল এসেছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। পল্লী বিদ্যুতের অফিসে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের মিটার না দেখে আনুমান নির্ভর বিল করার কারণেই এসেছে এমন ভুতুড়ে বিল।
পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ মা মিরারানী গণমাধ্যমকে জানান, তাদের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যথাক্রমে ৩৫০ টাকা ও ২৮৩ টাকা বিল এসেছে। অথচ মার্চ মাসে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে পৌনে পাঁচ লাখ টাকার বিলের কাগজ।
তিনি আরও জানান, তাদের কোনও বকেয়া বিল নেই। আর ওই বাড়িতে উনি ছাড়া আর কেউ থাকেনও না। এমনকি ৬ মাস আগেও দেড় হাজার টাকার বিল এসেছিল। সেই টাকা অনেক কষ্ট করে পরিশোধ করেন বলেও অভিযোগ করেন পবিত্র কুমারের মা।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের এজিএম রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, এটা তেমন কিছু না। কম্পিউটারে পোস্টিং দেয়ার সময় ভুল হয়েছে। বিলের কপি নিয়ে আসলে তা ঠিক করে দেয়ার কথাও জানান এজিএম রেজাউল করিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।