জুমবাংলা ডেস্ক : মশক নিধন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশা অতিক্ষুদ্র হলেও এটি আমাদের জন্য বড় একটি ফ্যাক্টর। মশক নিধনে সকল কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে এলাকায় এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানো হবে।
আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) মশা মুক্ত দেখতে চান বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত এক জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি একথা বলেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা এসেছি। আমাদের ওপর তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশী। মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সম্ভাব্য সব কিছু করতে হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা মশকমুক্ত শহর দেখতে চাই।’
মশক কর্মীদের তদারকির কথা জানিয়ে আতিকুল বলেন, ‘মশক কর্মীরা যাতে ঠিক মতো কাজ করে এ জন্য তাদেরকে তদারকি করতে হবে। অনেক মশক কর্মী ঠিক মতো কাজ করে না। মশক নিধন কর্মী, ওয়ার্ড সচিব, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর সবাইকে জবাদিহি করতে হবে। মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই।’
সভায় জানানো হয়, ওয়ার্ড পর্যায়ের মশক নিধন কার্যক্রম ১১টি টিমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি টিম প্রতিদিন মনিটরিং শেষে তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে। আগামী শনিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া যেসব বাড়িতে বা স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হবে।
সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের শপথ গ্রহণের দিন প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে, মশা যেন ভোট খেয়ে না ফেলে। তাই আমাদেরকে মশা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। আর যেন একটি মানুষও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, মশক নিধন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সদস্য, সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।