মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের পানিবদ্ধতার কারণে রোপা আমন চাষ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। মৌসুম শেষ হলেও ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় অনেক কৃষক দিশেহারা। তারা অভিযোগ করছেন, মনু নদী প্রকল্পের আওতায় কাশিমপুর পাম্প হাউস থেকে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।
মৌলভীবাজার ও রাজনগরের অন্তত সাতটি ইউনিয়নের ফসলি জমি পানির নিচে। পানিবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষক এখনো চারা রোপণ করতে পারেননি, এবং আগে রোপণ করা ধানের অনেক জমি তলিয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, হঠাৎ করে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এক মাসেও পানি সরে না যাওয়ায় তাদের অসহায় অবস্থা তৈরি হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদরের হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, “পাম্প হাউসের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করে আমন চাষ করব। আমাদের দাবি, আমরা চাষের সময় চাষ করতে পারি।”
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ অনিশ্চিত। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বিদ্যুত সংকটের কারণে ৮টি পাম্প সময়মতো চালু হচ্ছে না, যা পানি কমাতে বাধা দিচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক থাকলে আমরা লেট আমন চাষের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করব।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলিদ জানিয়েছেন, “বর্তমানে কৃষকদের চাহিদা ৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি, যা সম্ভব নয়। ৬ ইঞ্চি পানি কমাতে কমপক্ষে ৫০ দিন ৮টি পাম্প টানা চালাতে হবে।”
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে মনু নদী সেচ প্রকল্পের আওতায় কাউয়াদীঘি হাওরে ২৪ হাজার হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন এবং ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয় কাশিমপুরের ৮টি পাম্পের মাধ্যমে।
বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি: অর্থনীতির নতুন দ্বার খুলেছে উপকূলীয় জেলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।