চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন। ক্ষতিকর দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে এমন আশংকায় ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। তবে আগুন নেভানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার কর্মীরা।
আজ (৬ জুন) সরজমিনে দেখা যায় বিএম কনটেইনার ডিপোর বেশ কয়েকটা কন্টেইনার এখনও জ্বলছে। সেসব কন্টেইনার থেকে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। বাতাসে ভাসছে পোড়া গন্ধ। ছড়িয়ে-ছটিয়ে রয়েছে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি ড্রামগুলো। এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে পণ্যবোঝাই কনটেইনার।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আমরা ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন শতাধিক। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। আরও ২২ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। মরদেহ শনাক্তে আমরা ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করেছি।
ইতোমধ্যে চমেক হাসপাতাল এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, যাদের স্বজনের খোঁজ মিলেনি তারা যেন সোমবার সকালে হাসপাতালে অবস্থান করেন। এরপর দাবিকৃত স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দফতরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ দুই লাখ টাকার চেক এবং দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেয়া হচ্ছে। যাদের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকা-ে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।