বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক ঘোষণা করেছে যে,পর্যটকদের নিয়ে তাদের প্রথম স্পেস ট্যুরিজম ফ্লাইটটি ১০ আগস্ট মহাকাশে রওনা দেবে। এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে, গ্যালাকটিক ০২। প্রথম ধাপে তিনজন পর্যটক মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন। যারা আসল ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত প্রদান করেছেন। ক্রু, এর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে একটি বৃহত্তর ক্যারিয়ার প্লেনের নীচের অংশে কোম্পানির স্পেসপ্লেনটি সম্পৃক্ত হয়ে মহাকাশের দিকে যাত্রা করবে।
একবার এই দুটি যান একত্রে কমপক্ষে ৪৫ হাজার ফুটে পৌঁছালে রকেট প্লেনটি আলাদা হয়ে যাবে এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে ৫০ মাইলেরও বেশি পথ ভ্রমণ করবে। ভার্জিন গ্যালাকটিক ইতিমধ্যেই ৮০০ জন গ্রাহকের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে, পর্যটকরা এখন মহাকাশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। জুন মাসে কোম্পানির উদ্বোধনী মিশন শুরু হয়। ব্র্যানসনের কোম্পানি বলেছে যে তাদের মিশনের লাইভ স্ট্রিমিং দেখানো হবে। এর প্রথম-মিশন ‘গ্যালাকটিক-০১’- মারফত তিন সদস্যের ক্রু সংক্ষিপ্ত সাবঅর্বিটাল রাইডটি সম্পন্ন করেছে।
ইউনিটি নামে পরিচিত রকেট প্লেনটি ‘মাদারশিপ’, ভিএমএস ইভ নামে একটি ক্যারিয়ার বিমানের সাথে আটকে থাকবে। ইভ হল এক ধরণের ক্যারিয়ার প্লেন এবং এটিকে ছেড়ে দিতে পৃথিবীর পৃষ্ঠের অনেক উপরে ইউনিটি উড়ে যাবে। ইউনিটি তার জ্বালানি মারফত মহাকাশে পৌঁছলেই এর ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে। উড্ডয়নের শীর্ষে, মহাকাশযানটি তার ডানাগুলিকে উন্মোচিত করবে এবং আমাদের গ্রহের বায়ুমণ্ডলের উপরে ঘোরাফেরা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখনি মহাকাশের মনোরম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। গ্যালাকটিক ০১ মিশনের ফোকাস ছিল শূন্য মাধ্যাকর্ষণে ১৩ টি পরীক্ষাসম্পন্ন করা, যা থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিলো।
মাস্কের স্পেসএক্স এবং বেজোসের ব্লু অরিজিন মহাকাশে ক্যাপসুল চালু করার জন্য রকেট ব্যবহার করে, কিন্তু ব্রানসন একটি ভিন্ন পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন। ব্রানসনের কৌশলটি কয়েক দশক ধরে ফ্লাইট গবেষণায় অন্বেষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে X-1, শব্দভেদি প্রথম প্লেন এবং X-15, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত-চালিত বিমান, যা ঘন্টায় ৪,৫২০মাইল বেগে উড্ডয়ন করে। এটি প্রচুর পরিমাণে জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে কারণ যানটি নিম্ন বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাবার জন্য রকেট থেকে জ্বালানি ব্যবহার করে না। ব্রানসন প্রথম বিলিয়নিয়ার ছিলেন যিনি ২০২১ সালের ১১ জুলাই VSS ইউনিটি নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন। ভার্জিন গ্যালাকটিক প্রতিষ্ঠাতা VSS ইউনিটিতে থাকা ছয়জন ভার্জিন গ্যালাকটিক সদস্যদের একজন। তবে নিউ মেক্সিকো মরুভূমির রানওয়েতে ফিরে আসার সময় এটির গতিপথ থেকে সরে যাওয়ার কারণে স্পেসপ্লেনটি উড্ডয়নের পরপরই ভূপতিত হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলেছিল যে তারা ফ্লাইটের অবতরণে কিছু বিচ্যুতি লক্ষ্য করেছে যার তদন্ত চলছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।