জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বুধবার (২১ আগস্ট) অভিযোগ করেছেন যে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিরুনি অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে তারা নগরবাসীর সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ এর দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হবে।
মেয়র বলেন, ‘চিরুনি অভিযান পরিচালনার সময় আমাদের সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাড়ির মালিকরা তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না।’
রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আতিকুল বলেন, অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে তাকে কোনো কোনো বাড়িতে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। ‘তারা (বাড়ির মালিকরা) লিফটের মেশিন খুলে রেখে ছাদের চাবি নেই বলে উপরে যেতে দেননি।’
তিনি বলেন, ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বাড়ির মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসে অভিযান চালিয়ে যাওয়া কঠিন বলে মনে করছেন। ‘তাই যারা অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ১৮৬০ এর দণ্ডবিধির ১৮৩, ১৮৭, ২৬৯ এবং ২৭০ ধারা প্রয়োগ করবো।’
ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চালানো তাদের অভিযান থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে মেয়র বলেন, যে তারা রবিবার থেকে বাকি ৩৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবেন। ‘আমি মনে করি নগরবাসী আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং এবিষয়ে কাউন্সিলররা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু এবং এডিস মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। ‘এডিস মশা নির্মূল করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আমরা আমাদের কাউন্সিলরদেরকে অনুরোধ করছি।’
তিনি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে ডিএনসিসির সক্রিয় প্রচেষ্টায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।