Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home এতিমের প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বাণী
    ইসলাম ধর্ম লাইফস্টাইল

    এতিমের প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বাণী

    September 30, 20195 Mins Read

    ধর্ম ডেস্ক : এতিম শব্দের আভিধানিক অর্থ একক, অদ্বিতীয়, অতুলনীয়, অনুপম, বিস্ময়। মূলত অচেতন থেকে এতিমের উৎপত্তি হয়েছে। কেননা এতিম তার হক থেকে অচেতন থাকে।পরিভাষায় এতিম বলা হয়; বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বেই পিতার মৃত্যু হওয়া। রাসূল (সাঃ) বলেন; স্বপ্নদোষ তথা বালেগ হয়ে গেলে আর কেউ এতিম থাকে না। বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে মাতার মৃত্যু হলে আরবদের পরিভাষায় তাকে লতীম বলে, আর মাতা-পিতা উভয় মৃত্যুবরণ করলে তাকে কাতী’ বলে। মানে এতিম বলে।

    Advertisement

    458600u38841-450x237ইসলামে এতিমের তত্ত্বাবধানের ফযীলত: ইসলাম এতিমের হক আদায়ের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছে। বিশেষ করে বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১০টি হকের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে;

    ১. এতিমের মাল অন্যদের জন্য স্পর্শ করা নিষিদ্ধ: আল্লাহ বলেন; যারা অন্যায়ভাবে এতিমের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করে, নিশ্চয় তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না এবং সত্বরই তারা অগ্নি শিখায় উপনীত হবে। (সূরা নিসা: ১০)

    ২. কঠোরতা বা জোরকরা নিষিদ্ধ: পাওনা আদায়ে অধিকার না থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক নিজের আয়ত্বে রাখাকে আরবী ভাষায় ক্বাহ্র বলে। মহান আল্লাহ এতিমের সাথে এই ক্বাহ্র বাক্যটি ব্যয় করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন; অতএব, তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। (সূরা জুহা: ৯)

    ৩. মর্যাদার অধিকার: করম বলা হয় কোন প্রকার বিনিময় ছাড়া কাউকে কিছু দেয়া।

    ৪. রূঢ়তা ও দুর্ব্যবহার নিষিদ্ধ: আল্লাহ বলেন; সে তো ঐ ব্যক্তি, যে পিতৃহীনকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়। (সূরা মাউন: ২)

    ৫. খাদ্যের অধিকার: আল্লাহ বলেন: আহার্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত ও এতিম ও বন্দীকে আহার্য দান করে না। (সূরা দাহ্র: ৮)

    ৬. আশ্রয়দানের অধিকার: আল্লাহ বলেন;তিনি কি তোমাকে পিতৃহীন অবস্থায় পাননি, অতপর তোমাকে আশ্রয় দান করেন নি? (সূরা জুহা: ৬)

    ৭. বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তরাধিকার সংরক্ষণ: আল্লাহ বলেন; আর ঐ প্রাচীরটি- ওটা ছিল নগরবাসী দুই পিতৃহীন কিশোরের, এর নিুদেশে আছে তাদের গুপ্তধন এবং তাদের পিতা ছিল সৎ-কর্মপরায়ণ। সুতরাং তোমার প্রতিপালক দয়াপরবশ হয়ে ইচ্ছা করলেন যে, তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হোক এবং তারা তাদের ধন ভান্ডার উদ্ধার করুক। (সূরা কাহ্ফ: ৮২)

    ৮. ইহসানের অধিকার: ইহসান অর্থ ভাল কাজ করাকে বুঝায়, যা ইন’আম তথা পুরস্কার অপেক্ষা ব্যাপক। আর ইহসান, আদল তথা ইনসাফের উপরও অগ্রাধিকার রাখে। বলা হয় ইনসাফ হলো যে পরিমাণ গ্রহণ করা হয়, সে পরিমাণ ফিরেয়ে দেয়া। পক্ষান্তরে ইহসান হচ্ছে বেশী দিয়ে কম গ্রহণ করা। তাই বলা হয় ইনসাফ করা ওয়াজিব। আর ইহসান নফল হলেও এতে সাওয়াব রয়েছে বেশী।

    ৯. ইনসাফের অধিকার: আল্লাহ বলেন; এবং পিতৃহীনদের প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা কর। (সূরা নিসা: ১২৭)

    ১০. ফাই’র অধিকার: ফাই শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রত্যাবর্তন করা। ফুক্বাহাদের নিকট ফাই হলো কাফেরদের যে মাল যুদ্ধ ছাড়া হস্তগত হয়। যেমন খেরাজ, জেযিয়া। এই মালে সকল মুসলমানের অধিকার থাকে। আর এর থেকে এক পঞ্চমাংশ বের করা হয়। আর যে মাল যুদ্ধের পরে অর্জিত হয় তাকে মালে গনীমত বলে। আবার কেউ কেউ ইমামের (খলীফার) (অংশ) ভাগকে মালে ফাই বলেছেন। মোট কথা হলো মুসলমানদের ঘর হতে সংগৃহীত মালই মালে ফাই। এই মর্মে আল্লাহ বলেন; আল্লাহ এই জনপদবাসীদের নিকট হতে তাঁর রাসূল (সাঃ) কে যা কিছু দিয়েছেন, তা আল্লাহর, তাঁর রাসূল (সাঃ)’র এবং রাসূলের স্বজনগণের এবং এতিমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের, (সূরা হাশর: ৭)

    আসুন এবার এতিমের ব্যাপারে যে নবী এতিম হয়েই জন্ম নিলেন, তিনি তাদের সম্পর্কে কি বলেন: নিশ্চয় রাসূল (সাঃ) এতিমদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। তিনি বলেন; আমি এবং এতিমের জিম্মাদার বা অভিভাবক জান্নাতে এভাবে থাকবো। তখন তিনি তর্জনী এবং মধ্যমা আঙ্গুল সামান্য ফাঁক করে দেখান।

    একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)’র নিকট অভিযোগ করলো হে আল্লাহর রাসূল! আমার হৃদয় অত্যন্ত পাষাণ হয়ে গেছে। আল্লাহর রাসূল বললেন; এতিমের মাথায় হাত রাখ, মিসকীনদের আহার করাও। এতে অনেক পূণ্য রয়েছে। প্রতিটি চুলের বিনিময় নেকী দেয়া হবে। আবু উমামা হতে বর্ণিত; রাসূল (সাঃ) বলেন; যে ব্যক্তি এতিমের মাথায় হাত রাখবে আল্লাহর সন্তুষ্টের উদ্দেশ্যে, তার বিনিময় আল্লাহ প্রতিটি চুলের বদলায় নেকী দান করবেন।

    রাসূলের এসব বর্ণনার কারণে দেখা যায় সাহাবাগণ, তাবেঈন, তাবে’ তাবেঈনগণ তাঁরা প্রত্যেকে প্রতিযোগিত করতেন এতিম লালন পালন করার জন্য। তা ছাড়া আমি আরব রাষ্ট্রগুলো প্রত্যক্ষ করেছি যে, এসব দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এতিমদের লালন পালনের ব্যবস্থা রয়েছে, এতে দেশের ধনী লোকেরাও অংশগ্রহণ করছে।

    এতিমের প্রতি ইসলাম: ইসলামী সমাজ এমন একটি সমাজ, যে সমাজে পরস্পর সহানুভূতিশীল ও বন্ধুভাবাপন্ন সম্প্রীতি বর্তমান থাকে। আল্লাহ বলেন; মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; (সূরা ফাত্হ: ২৯) আল্লাহর রাসূল মুমিনদের গুণ বর্ণনা করেন এভাবে যে, সমস্ত মুমিনগণ একটি শরীরের মত। রাসূল (সাঃ) বলেন; মুমিনগণ পরস্পর দয়া ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং ভালবাসার দিক হতে একটি শরীরের মত। যদি শরীরের কোন অঙ্গে আঘাত লাগে সমস্ত শরীর ব্যথায় কাতরায়। এই হাদীস স্পষ্ট প্রমাণ করে যে এতিমদেরকে দয়া মায়া মমতা ভালবাসা দিয়ে তাদেরকে আপন করে নিতে হবে।

    অবশ্য উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার (জান্নাত) ব্যতীত আর কি হতে পারে?
    এই মর্মে আল্লাহ তা’আলা বলেন; উত্তম কাজের জন্য প্রতিদান উত্তম পুরস্কার হবে। (সূরা আর রাহমান: ৬০) অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি কারো সাথে সদাচরণ করে তাহলে আল্লাহ উত্তম বদলা দিয়ে দিবেন।

    এতিমের লালন পালন করা যেন নিজের সন্তানের লালন পালন করার মত। কেননা আল্লাহ না করুন নিজের সন্তান এতিম হলে তখন অন্যরা এই এতিম সন্তানটি লালন পালন করবে। পক্ষান্তরে নিজে অন্য সন্তানের খুঁজ না নিলে, কেউ নিজের সন্তানের খুঁজ-খবর নিবে না, এটাই রীতি। প্রবাদ রয়েছে; যেমন কর্ম তেমন ফল।

    ইসলামী সমাজ পরস্পর সহযোগিতার শিক্ষা দেয়। ইসলাম উৎসাহ প্রদান করেছে, একে অন্যের সুখে-দুঃখে শামিল হওয়ার জন্য। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন রাসূল (সাঃ)’কে কেউ জিজ্ঞাস করলো যে, উত্তম আমল কোনটি? রাসূল (সাঃ) বললেন; তুমি তোমার মুসলিম ভাইয়ের আনন্দে শরীক হও, তার ঋণ পরিশোধ কর, তাকে খানা খাওয়াও। রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে, আল্লাহ ও তার প্রয়োজনের সময় এগিয়ে আসবেন।

    রাসূল (সাঃ) আরো বলেন; আল্লাহর নিকট ঐ ব্যক্তি প্রিয়, যে মানুষের উপকার করে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ইসলাম এতিমের ধর্ম প্রতি বাণী মহানবী মুহাম্মদ লাইফস্টাইল সা. হযরত
    Related Posts
    লঞ্চে বা বাসে ভ্রমণের নিরাপত্তা টিপস

    লঞ্চে বা বাসে ভ্রমণের নিরাপত্তা টিপস: আপনার গন্তব্য নিরাপদ

    June 27, 2025
    বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়

    বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়

    June 27, 2025
    হাত ও পায়ে চুলকানি হলে কী করবেন

    হাত ও পায়ে চুলকানি হলে কী করবেন: কার্যকরী পরামর্শ

    June 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    লঞ্চে বা বাসে ভ্রমণের নিরাপত্তা টিপস

    লঞ্চে বা বাসে ভ্রমণের নিরাপত্তা টিপস: আপনার গন্তব্য নিরাপদ

    ট্রাম্প

    ইরানের কোনও পারমাণবিক স্থাপনা থেকে কিছুই সরানো হয়নি : ট্রাম্প

    বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়

    বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়

    নির্বাচন

    ‘সংস্কার না করে প্রচলিত পদ্ধতিতে এক হাজার বছরেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না’

    ফেডারেল রিজার্ভের

    ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন, ডলারের বাজারে ধস

    হাত ও পায়ে চুলকানি হলে কী করবেন

    হাত ও পায়ে চুলকানি হলে কী করবেন: কার্যকরী পরামর্শ

    ঝিনাইদহে ট্রেনে কাটা

    ঝিনাইদহে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

    বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি কেন

    বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি কেন: মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি

    শাহরুখ

    ভারতের সাধারণ নাগরিকদের চেয়ে কেন আলাদা শাহরুখের পাসপোর্ট

    রিয়েলমি সি৭১

    কী থাকছে ব্যাটারি মনস্টার খ্যাত ‘রিয়েলমি সি৭১’ স্মার্টফোনে ?

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.