স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছর ইউএস ওপেনে খেলার জন্য যে ধরনের কঠোর স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা মেনে স্বাভাবিক ভাবে একজন খেলোয়াড়ের অংশ নেয়া একেবারেই অসম্ভব। এমনটি মনে করেন, বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ।
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর নিউ ইয়র্কে বছরের চতুর্থ ও শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম আয়োজন নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু করোনার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হওয়ায় তা আগামী আগস্টেই আয়োজনে আশাবাদী আয়োজকরা।
এদিকে সার্বিয়ান টেনিস গ্রেট জকোভিচ স্বীকার করেছেন, আয়োজকদের দেওয়া নির্দেশনাগুলো সকলের ওপরই বাড়তি চাপ ফেলবে।
৩৩ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা বলেছেন, গতকালই আমি বিশ্ব টেনিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে আলাপ করেছি। সেখানে মৌসুম চালিয়ে নেওয়ার ব্যপারে কথা হয়েছে। বেশিরভাগই মত দিয়েছেন আগস্টের শেষে ইউএস ওপেন আয়োজনের ব্যপারে তারা আশাবাদী। কিন্তু এখনও তারা এই আয়োজন নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন। যে ধরনের বিধি-নিষেধের কথা তারা আমাকে জানিয়েছেন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে এর মধ্যে খেলাটা সত্যিই কঠিন।
তিনি আরও বলেছেন, ম্যানহাটানে প্রবেশাধিকার নেই। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে গিয়ে আমাদের ঘুমোতে হবে। সপ্তাহে তিন বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়াও মাত্র একজন সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে কোর্টে যেতে হবে। যা মানা অসম্ভব। কারণ কোচ, ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও ফিজিয়োথেরাপিস্ট তো লাগবেই। তাদের সকলের পরামর্শ একটি ম্যাচে খুবই জরুরি। কিন্তু এসব কিছু থেকে বেরিয়ে আসাটা সত্যিই কঠিন। বুঝতে পারছি না আসলেই কি হতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গেল মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের টেনিস ট্যুর। জুলাইয়ের শেষে টেনিস ফের কোর্টে ফিরতে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বাতিল হয়ে গেছে উইম্বলডন। ফ্রেঞ্চ ওপেন মে-জুন থেকে সরিয়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।