দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন সরকার পারমাণবিক বোমা বানাতে একটি বিপুল ব্যয়বহুল প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ম্যানহাটান প্রজেক্ট। প্রকল্পটির প্রধান পরিচালক ছিলেন রবার্ট ওপেনহাইমার। বড় বড় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ডাক পেয়েছেন এক তরুণ বিজ্ঞানীও। তাঁর বয়স কেবল বিশ পেরিয়েছে।
উচ্ছলতার বয়স। সেই বয়সে তরুণ এই বিজ্ঞানীর ঘাড়ে চেপেছে জটিল সব গাণিতিক হিসাবনিকাশের দায়িত্ব। গুরুদায়িত্ব, বলা বাহুল্য। একটু এদিক-ওদিক হলেই হয়েছে! সামান্য ভুলের জন্যও গুনতে হতে পারে চড়া মাশুল। তরুণ যেন জাদু জানেন। দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিলেন সবকিছু। সেই সঙ্গে ইউরেনিয়াম-২৩৫ আর ইউরেনিয়াম-২৩৮-কে কীভাবে আলাদা করা যায়, এ নিয়েও কাজ করলেন সফলভাবে।
শুধু তাই নয়। পরবর্তীতে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার একটি শাখা—কোয়ান্টাম ইলেকট্রোডাইনামিকসে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। নিজের উদ্ভাবিত স্বনামের ডায়াগ্রামটির জন্যই শুধু অমর খ্যাতি পেতে পারতেন। তবে থেমে যাননি শেখানেই।
জীবদ্দশায় বিজ্ঞানী হয়েও পেয়েছিলেন রকস্টারের খ্যাতি। পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম মেধাবী শিক্ষক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তী পর্যায়ে। একবার পদার্থবিজ্ঞানের একাডেমিক কোর্স করিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের—সেই লেকচারগুলো বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, আজও সেই বই বহু তরুণকে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক দূর, বদলে গেছে অনেক কিছু, কিন্তু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা ম্লান হয়নি একটুও। তরুণ সেই বিজ্ঞানীর নাম রিচার্ড ফাইনম্যান। তাঁর গল্প শোনার জন্য চলুন ফিরে যাই ১৯১৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।