জুমবাংলা ডেস্ক : পরিচালক পদ বলে কোনো পদই নেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তথা এনসিটিবির (অর্গানোগ্রাম) জনবল কাঠামোতে। অথচ এই গায়েবি পদেই পদায়ন করা হয়েছে এক কর্মকর্তাকে। বিষয়টি নিয়ে গত দু’দিন ধরে এনসিটিবিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। নয়া দিগন্তের করা প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের পদবিন্যাস বিষয়ে সম্যক ধারণা না থাকায় এমনটি ঘটেছে। যদিও মাত্র কিছু দিন আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি পদে পদায়ন নিয়েও লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে এই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে উপ সচিব পদমর্যাদার তাসলিমা আক্তারকে (পরিচিতি নং-১৬৬১৮) জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক পদ থেকে বদলি করে এনসিটিবির পরিচালক পদে পদায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদিও এনসিটিবিতে পরিচালক পদ বলতে কোনো পদই নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত আদেশে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ দিকে এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছরের এই শেষ সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের (কারিগরি ও মাদরাসা মিলে) বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণসংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু এনসিটিবির গুরুত্বপূর্ণ পদ সদস্য (অর্থ) পদে এখনো কাউকেই পদায়ন করা হয়নি। ফলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ প্রক্রিয়ার আগে টেন্ডার আহ্বান, টেন্ডার ওপেন, মূল্যায়ন এবং কার্যাদেশ দেয়ার মতো অনেক জরুরি কাজের জন্যও এনসিটিবির অর্থ বিভাগটিকে থাকতে হয় সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। কিন্তু এই পদে সদস্য হিসেবে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি। অথচ পদ নেই এমন পদেই পদায়নের মতো হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে।
এনসিটিবির এক কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদকে বলেন, এই মুহূর্তে এনসিটিবিতে প্রয়োজন সদস্য (অর্থ) পদে একজনকে জরুরি ভিত্তিতে পদায়ন করা। আর এই পদটি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার। সুতরাং যুগ্ম সচিব পদপর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে এনসিটিবির সদস্য (অর্থ) পদে পদায়ন করা দরকার। বিশেষ করে বছরের শেষ সময়ের এই মুহূর্তে পাঠ্যবই মুদ্রণসংক্রান্ত সব কাজেই এখন অর্থসংক্রান্ত কাজে গতিশীলতা আনা দরকার।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, বিষয়টি হয়তো ভুলে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। এনসিটিবির পরিচালক পদ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আগের জারি করা আদেশ সংশোধন করা হবে। বিষয়টি আগামীকাল (আজ বুধবার) অফিস আওয়ারে দেখে প্রয়োজনে সংশোধিত আকারে আবারো আদেশ জারি কিংবা পদায়ন বাতিল করা হবে।
অপর দিকে এনসিটিবিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী তার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সদস্য (অর্থ) বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বছরের এই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে সদস্য (অর্থ) পদে দক্ষ একজন কর্মকর্তা পদায়নের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।