জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর নিকেতনের যে কার্যালয়ে থেকে প্রভাবশালী ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম বিপুল পরিমাণ অ*স্ত্র, মা*দক ও অর্থসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর কিছু গণমাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের লোক বলে উল্লেখ করা হলেও তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন আব্বাস। এসময় জি কে শামীম শাহজাহানপুর এলাকার টোকাই ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জি কে শামীম আটক হওয়ার পর যোগাযোগ করা হলে মির্জা আব্বাস এ দাবি করেন।
জি কে শামীমকে চিনি না দাবি করে মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আর তিনি যদি আমার লোক হতেন, তাহলে এতদিন তাকে ধরা হয়নি কেন। তিনি যুবলীগে গেলেন কীভাবে। তাহলে যারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ করে সবাই আমার লোক! তাদের সবাইকে ধরতে বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জি কে শামীম শাহজাহানপুর এলাকার টোকাই ছিলেন। এসব টোকাইদের সঙ্গে মির্জা আব্বাস পরিবারের লোকজনের কখনোই যোগাযোগ রাখেনি বা কথা হয়নি। আর এরা কখনো আমাদের বাড়িতেও প্রবেশ করতে পারেনি। এদের কীভাবে চিনবো?
‘বিএনপি ক্যাসিনো শহর বানিয়েছিল’ বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অভিযোগের উত্তরে ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস বলেন, ক্যাসিনো বিএনপির সৃষ্টি নয়। বরং আমি যখন মেয়র ছিলাম তখন ঢাকা শহরের সব জুয়ার আসর বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সুতরাং ওবায়দুল কাদের যেটা বলেছেন সেটা সঠিক নয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পরিচয়ধারী ও রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীমকে শুক্রবার তার গুলশানের নিকেতনের কার্যালয় থেকে বিপুল অ*স্ত্র-মা*দক ও টাকাসহ আটক করা হয়।
কিছু গণমাধ্যমে জি কে শামীমকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে জানানো হয়, তিনি একসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের লোক ছিলেন এবং যুবদল করতেন। যুবদল থেকে পরে যুবলীগে ঢোকেন জি কে শামীম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।