জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইতিহাসে ‘আবরার’ নামটি অচেনা নয়। ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর দুই বছর পার হয়েছে।
আর এবার বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন আবরার নামের ১৯ জন শিক্ষার্থী।
বুয়েটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকৌশল এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের আওতায় বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছয় হাজার শিক্ষার্থী গত ৬ নভেম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এবার প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধীনে ১২টি বিভাগে স্নাতকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া এক হাজার ২১৫ জন ভর্তির সুযোগ পাবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১৫ শিক্ষার্থীর নামের অংশে ‘আবরার’ শব্দটি রয়েছে। এছাড়া অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন আরও চারজন শিক্ষার্থী। তাদের নামের অংশেও ‘আবরার’ শব্দটি রয়েছে। ভর্তির সুযোগ পাওয়া তিন শিক্ষার্থীর নামের সঙ্গে যুক্ত আছে ‘ফাহাদ’ শব্দটি। তাদের মধ্যে দুজন অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, সে সময় অভিযুক্ত ২৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করে বুয়েট। পরবর্তীকালে র্যাগিংয়ের কারণে কোনো ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুয়েট অভিযুক্তকে বহিষ্কার করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। এছাড়া এ ঘটনার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।