নানা অনিয়মের অভিযোগে পদ হারালেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। এদিকে, নিজের ভবিষ্যতের রাজনীতির বিষয় নিয়ে গোলাম রাব্বানী একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য আপার (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) নির্দেশনার দিকেই তাকিয়ে থাকবো। আপা চাইলে রাজনীতি করব, অন্যথায় নয়।’
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সাবেক হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারি (জি এস) গোলাম রাব্বানী। ডাকসুর জিএস হওয়ায় ছাত্র রাজনীতি এখনো ছাড়তে পারছেন না তিনি। বরং সেদিকেই আরো মনোযোগী হবেন বলেও জানালেন।
রাব্বানী বলেন, ডাকসুতে আমার যে ভূমিকা নেওয়ার সেটির দিকে আরো বেশি মনোযোগী হব।
উল্লেখ্য, চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে শনিবার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সভায় ছাত্রলীগের প্রসঙ্গটি এসেছিল। আমাদের নেত্রী বলেছেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানে বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে গত বছরের ১১ ও ১২ মে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষে ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সে হিসাবে আরও প্রায় ১১ মাস এই কমিটির মেয়াদ থাকতেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হল শোভন ও রাব্বানীকে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে এই প্রথম নানা অনিয়মের অভিযোগে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের এই পরিণতি হল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।