বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মহাকাশ-এর উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছাড়লেন জাপানের এক বিলিয়নিয়ার। জেফ বোজস এবং ইলন মাস্কের পদচিহ্ন অনুসরণ করে এবার মহাকাশে উড়াল দিলেন জাপানি বিলিয়নিয়ার ইউসাকু মাজাওয়া।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাশিয়ান নভোচারী আলেক্সান্ডার মিসরুকিন এবং ভিডিও প্রডিউসার ইউজো হিরানুর সঙ্গে মহাকাশ অভিমুখে যাত্রা করেছেন ইউসাকু। ইউজো মূলত মহাকাশে ইউসাকুর কর্মকাণ্ড ভিডিও করার উদ্দেশ্যে এই যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন।
এর আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে ইউসাকু বলেন, ‘অবশেষে আমার স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষও আমার মতো মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। কে জানে কখন কার স্বপ্ন কিভাবে সত্যি হয়ে যায়।’
মহাকাশে গিয়ে ইউসাকু ১০০টি ভিন্নধর্মী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন। এর জন্যই যাত্রার বেশ আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। মধ্যখানে মহাকাশে প্রেমিকা নিয়ে যাওয়ার জন্যও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ইউসাকু। যদিও পরে সে চিন্তা বাদ দিয়েছেন তিনি।
তরুণ বয়সে ইউসাকু রক ব্র্যান্ডের ড্রামার হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে স্টার্ট টুডে নামে একটি সিডি কোম্পানি চালু করেন ইউসাকু।
২০০৪ সালে ইউসাকু জোজোটাউন নামে একটি ফ্যাশন শপ প্রতিষ্ঠা করলে রাতারাতি বিলিনিয়রদের কাতারে প্রবেশ করেন। ইউসাকু জাপানের ৩০তম ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন। বর্তমানে ইউসাকু ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের মালিক।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ‘ডিয়ারমুন’ নামক একটি ফ্লাইটে চেপে চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইউসাকু। ইউসাকু তার চন্দ্রাভিযানে সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে ৮ জন নিয়ে যাবেন বলেও ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে অনলাইন জায়ান্ট অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন মহাকাশে বাণিজ্যিক ভ্রমণ শুরুর পর এবার বাণিজ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। অরবিটাল রিফ নামের এই স্টেশন চলতি দশকের শেষেই স্থাপন করা হবে। বিজনেজ পার্ক হিসেবে স্থাপন করা হবে এই স্পেস স্টেশন, যেটি পরিচালনা করবেন ১০ জন মানুষ। মহাকাশ স্টেশন তৈরির জন্য বেজসের কোম্পানি সহযোগিতা নেবে সিয়েরা স্পেস আর বোয়িংয়ের।
ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, ৩২ হাজার স্কয়ার ফিটের এই স্টেশনে মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে চলচ্চিত্রের শুট্যিংয়ের সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি থাকবে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার সুযোগ। একটি স্পেস হোটেল বানানোর পরিকল্পনা আছে বেজোসের। এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লু অরিজিন আর সিয়েরা স্পেস কর্তৃপক্ষ এই স্পেস স্টেশন তৈরির খরচ নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি। তবে মোটা অঙ্কের টাকা আসবে জেফ বেজোসের কাছ থেকেই। বছরে ১০০ কোটি ডলার বেজোস খরচ করেন ব্লু অরিজিনের পেছনে।
এর আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, ২০ বছর বয়সী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে অবসরে পাঠাবেন তারা। ২০৩০ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার তহবিল থাকলেও সক্ষমতা নেই আইএসএস’এর। প্রয়োজন যন্ত্রাংশ মেরামতের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।