জুমবাংলা ডেস্ক : এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, পরিবহন এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) পাবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের দুটি ইউনিটে এ পরীক্ষা হবে। এবার ৯২০টি আসনের জন্য ২৫ হাজার ৭০৫ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। প্রতি আসনের জন্য লড়ছেন ২৮ জন। ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষার্থীয় অংশগ্রহণের জন্য আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, পরিবহন এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০ হাজার জনের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিসি কবীর মাহমুদ বলেন, পাবিপ্রবিসহ পাবনা শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসার ৪৭টি স্থানে ১০ হাজার পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতের খাবার এবং শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নাস্তা সরবরাহ করা হবে। তাদের জন্য শহর ও শহরতলীর ১২টি পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। আবাসনের ৪৭টি এবং ১২টি হেল্প ডেস্কে পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, তাবলিগ জামাতসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
ডিসি কবীর মাহমুদ আরও বলেন, পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা ইতোমধ্যে পাবনায় এসেছেন। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহায়তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। কাজেই আমরা তাদের সহায়তা ও সেবা দিয়ে সারাদেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল বলেন, শহরের ঐতিহ্যবাহী চাঁপাবিবি ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদে এক হাজার পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাবনার মানুষ অতিথিপরায়ণ। যারা পাবিপ্রবিতে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তারা আমাদের অতিথি। তাদের সেবা দেয়া আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তজা বিশ্বাস সনি বলেন, ৪৭টি আবাসন স্পট এবং সব হেল্প ডেস্কে যুবলীগের ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এসব স্বেচ্ছাসেবকের জন্য ১০০টি মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জরুরি সেবা দেবেন তারা। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য পাবনা চেম্বার অব কমার্স ৬০০ খাবার প্যাকেট সরবরাহ করবে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০ হাজার পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে এক হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক থাকবেন। এর বাইরে অনেকেই পরীক্ষার দিন নিজস্ব উদ্যোগে এসে পরীক্ষা দিয়ে চলে যাবেন। অনেক পরীক্ষার্থী নিজস্ব উদ্যোগে শহরে আবাসন এবং খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন। কাজেই আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের আবাসন ও খাবার ব্যবস্থার উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি অফিস ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান উপাচার্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, পরিবহন এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ৭০ হাজার ভর্তিচ্ছুর জন্য বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে নোবিপ্রবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।