বিনোদন ডেস্ক : ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। এগিয়ে আসছে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী ইউটিউবার ইনফ্লুয়েন্সারাসহ সংগীতশিল্পীরা। সেই কাতারে আছেন হালের ক্রেজ অভিনেতা আরশ খান।
পর্দায় অনবদ্য কাজের জন্য বরাবরই দর্শকমহলে প্রশংসিত আরশ খান। দর্শকরা তাকে অভিনেতা হিসেবে চিনলেও, এর বাইরে বিভিন্ন সময় সামাজিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায় তাকে। কিছুদিন আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন এ অভিনেতা।
এবার দেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে শুকনো খাবার নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন আরশ খান। বুধবার (২২ আগস্ট) অভিনেতা আরশ খান ও অভিনেত্রী তাসনুভা তিশার নেতৃত্বে আটজনের একটি দল যায় নোয়াখালীর মাইজদীতে। শিশু খাবার থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জন্য খাবার, ওষুধ নিয়ে যান। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ক্যাম্প করেন। দলে দলে ভাগ হয়ে ত্রাণ নিয়ে নিজেরাই নৌকা নিয়ে গ্রামগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় ফেরেন অভিনেতা আরশ খান। শনিবার (২৪ আগস্ট) তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সদর থেকে ভেতরে অনেক জায়গা আছে, সেখানে কোনোরকম থাকার জায়গা থাকলেও খাবারের অভাব। আমরা সেসব জায়গা খুঁজে খুঁজে বের করে সেখানেও ত্রাণ দিয়েছি। এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সদর থেকে নৌকা বা স্পিডবোটে সেখানে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা লাগছে। ফলে একেবারেই অজপাড়াগাঁয়ের খবর এখনো অনেকে জানেন না। যাঁরা এখন যাচ্ছেন, তাঁরা বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখবেন।
নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আরশ আরও বলেন, শিশু, বয়স্কদের অবস্থা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল পৃথিবীতে তাঁদের মতো অসহায় আর কেউ নেই। এসব দেখে সাঁতার জানি কি জানি না, এটাও মাথায় ছিল না। লাইফ জ্যাকেট গায়ে ৩০ ফুট পানিতেও নেমেছি। ত্রাণের জন্য নিয়ে যাওয়া চিড়া-গুড় খেয়েই আমরা দিন-রাত পার করেছি।
এ সময় ত্রাণ বহনকারী পিকআপ ভ্যানচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আরশ। তিনি বলেন, ‘ড্রাইভার জয় যেভাবে আমাদের সঙ্গে দিনরাত কাজ করেছেন, ভোলার নয়। গরিব মানুষ, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। অথচ এই বিপদে নিজের আয়ের কথা না ভেবে হাতে হাত রেখে কাজ করেছেন আমাদের সঙ্গে। তাঁকে স্যালুট।’
রণবীর-আয়ুষ্মানের ‘না’! সৌরভের বায়োপিকে এবার বাংলার সুপারস্টার?
ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে বিপদেও পড়েছিলেন বলে জানালেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, নিজেরাই দুটি বড় নৌকা চালিয়ে রাতে সদরে ফিরছিলাম আমরা। আমি আগের নৌকায় ছিলাম। পেছনের নৌকাটি বিদ্যুতের ছেঁড়া তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। নৌকার সবাই শক খায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল চারজনকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
জানা গেছে, বন্যাদুর্গত কুমিল্লা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জায়গায় আরেকটি একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা ত্রাণ বিতরণ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।