জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনকে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠন।
শুক্রবার রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় এমপি অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুসের ইন্ধনে তার সমর্থকরা তাকে মারধর করেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের কালীবাড়ি রায়পুর গ্রামে পুকুর খনন সংক্রান্ত সালিশি বৈঠকে ওই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হামলার শিকার চেয়ারম্যান বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, চেয়ারম্যানের বাম চোখের পাশে ফোলা রয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার দুলাভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে এমপির ৯ সমর্থককে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় সবুর, জামাল ও কামাল নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বাড়ি উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের কালীবাড়ি রায়পুর গ্রামে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হামলার শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, কালীবাড়ি রায়পুর গ্রামের কবরস্থানের পাশে একটি পুকুর খননকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠক ছিল। সেখানে তিনি উপস্থিত হন। বৈঠকের একপর্যায়ে এমপি আব্দুল কুদ্দুস সমর্থক সবুর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন তার ওপর চড়াও হয়ে এমপির বরাত দিয়ে মারপিট করে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করতেই একটা মহল তার বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।