বিনোদন ডেস্ক: সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বহুল আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তাই তারা চাইবে তাদের সুখে দুঃখে আমি যেন পাশে থাকি। তাদের জন্য অনেক কাজ করতে চাই। তখন জনসেবায় ব্যস্ত থাকব বলে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে সময় কম দেব।’
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন হিরো আলম। এর পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচনে হারলেও আমি আবার চেষ্টা চালিয়ে যাব। কারণ, আমার তো তেমন কোন বয়স হয়নি যে পরে আর নির্বাচন করতে পারব না। চেষ্টা অব্যাহত থাকবে সুফল একদিন আসবেই।’
নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কী কী কাজ করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে অনেকেই বড় বড় কথা বলে। কিন্তু আমি বড় বড় কথা বলতে চাই না। আমি ভোটে জিতলে এলাকায় কাজ করে দেখিয়ে দেব।’
এলাকাবাসী জানান, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে ডিশে প্রচার করতে থাকেন।
এতে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে অভিনয় ও মিউজিক গানের দৃশ্য ছড়িয়ে দেন। পরে ইউটিউবে এসব আপলোড করে আলোচনায় আসেন।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হিরো আলম গত ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পান। নির্বাচনে তিনি জামানত হারান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।