Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের কার্যকরী উপায় কী?
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের কার্যকরী উপায় কী?

    Yousuf ParvezDecember 13, 20245 Mins Read
    Advertisement

    ধরা যাক, কোনো এলিয়েন-সভ্যতার খোঁজে আমরা অন্য কোনো গ্রহে অবতরণ করেছি। ওই এলিয়েনদের কোনো কিছুই হয়তো আমাদের মতো হবে না। তাদের পা তিনটা হতে পারে। কিংবা কে জানে, কোনো পা না–ও থাকতে পারে। তাদের চামড়া হতে পারে ঘিনঘিনে পিচ্ছিল আর রক্তবর্ণের। এমনকি ন্যাকেড মোল ইঁদুরের চেয়েও কুৎসিত হতে পারে তারা। কে জানে, তারা চমৎকার নাচও জানতে পারে। আমরা আসলে এসবের কিছুই জানি না। আমরা শুধু একটা বিষয় নিশ্চিত, আমাদের বিশ্বে প্রকৃতির যেসব নিয়মকানুন আছে, তাদের বিশ্বেও একই নিয়মকানুন প্রযোজ্য।

    এলিয়েন

    বিজ্ঞানে এই ধারণাকে বলা হয় ইউনিভার্সালিটি অব ফিজিক্যাল লজ। অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর সর্বজনীনতা। তুমি যদি এলিয়েনদের সঙ্গে কথা বলতে চাও, তাহলে বাজি ধরতে পারো, তারা ইংরেজি বা ফরাসি কিংবা মান্দারিন ভাষায় কথা বলতে পারবে না। আবার তাদের সঙ্গে হাত মেলানোকে তারা আন্তরিক শুভেচ্ছা, নাকি ভয়ানক অপমান হিসেবে মনে করবে, তা–ও আমরা জানি না।

    কিন্তু তাদের সভ্যতা যদি উন্নত হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের একই সূত্রগুলো বুঝতে পারবে। খাটো হোক বা লম্বা হোক, ঘিনঘিনে হোক বা না হোক, মহাকর্ষ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান থাকবে। কাজেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তোমার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, বিজ্ঞানের ভাষা ব্যবহার করা।

    বৈজ্ঞানিক যেসব সূত্র আমাদের মহাবিশ্বকে সংজ্ঞায়িত করে ও আকার দেয়, সেগুলো মহাবিশ্বের সব জায়গায় একই রকম। তোমার বাড়ির পেছনের উঠান থেকে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ এবং তা ছাড়িয়ে সব জায়গার জন্যই সূত্রগুলো সত্য। এমনকি ছায়াপথের অনেক বহুদূরের পটভূমিতে যে স্টার ওয়ার্স মুভি বানানো হয়েছে, তাতেও এসব সূত্রে অবিচল থাকা উচিত। কারণ, সবচেয়ে দূরবর্তী ছায়াপথগুলোও আসলে আমাদের মহাবিশ্বেরই অংশ।

    ভৌত বা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো যে সর্বজনীন, তা একসময় বিজ্ঞানীরাও জানতেন না। মানে ১৬৬৬ সালের আগপর্যন্ত এটা কারও জানা ছিল না। কিন্তু ওই বছর মহাকর্ষ সূত্র লিপিবদ্ধ করেন আইজ্যাক নিউটন। মহাকর্ষ কীভাবে কাজ করে, সে রকম একটা রেসিপি বলা যায় একে। এর আগে কেউ জানত না বা ভাবতেও পারেনি যে বৈজ্ঞানিক সূত্রগুলো আমাদের বাড়িতে আর মহাবিশ্বের সব জায়গার একই রকম। নিজ নিজ ক্ষেত্রে পৃথিবীর পার্থিব জিনিসপত্র এবং স্বর্গীয় বা মহাকাশের স্বর্গীয় বস্তু (যেমন নক্ষত্র ও গ্রহগুলো) চলাফেরা করত।

    আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গার নিয়মকানুন বা সূত্র বদলে যেতে পারে। যেমন তোমার বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে তুমি স্নিকার পায়ে দিয়ে সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারো। তাতে হয়তো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তোমার বন্ধুর বাড়িতে গেলে হয়তো সেখানকার নিয়ম হবে। দরজার কাছে তোমাকে জুতা খুলতে হবে। এর কারণ যাতে ঘরের সব জায়গায় ধুলা বা কাদা ছড়িয়ে না পড়ে। বিজ্ঞানীরাও একসময় ভাবতেন, মহাবিশ্বও হয়তো সেভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। মানে একেক জায়গায় একেক নিয়ম। কিন্তু নিউটন আবিষ্কার করলেন, মহাবিশ্ব আসলে প্রচলিত ভাবনার চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে, সব জায়গায় একই নিয়ম খাটে।

    নিউটনের পর উনিশ শতকের জ্যোতির্বিদেরা এই ধারণা ব্যবহার করে নির্ণয় করলেন যে পৃথিবীতে যেসব মৌল পাওয়া যায়, সূর্যও একই মৌল দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন, কার্বন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ক্যালসিয়াম ও লোহা। এমনকি তাঁরা সূর্যের আলোতে নতুন একটা মৌল দেখতে পেলেন।

    সূর্যেই সেটা প্রথম খুঁজে পাওয়ার কারণে নতুন পদার্থটির নাম রাখা হলো হিলিয়াম। আসলে গ্রিক ভাষায় সূর্যের আরেক নাম হেলিয়স। সে কারণে নতুন মৌলটির নাম এ রকম। হিলিয়াম হলো পর্যায় সারণির প্রথম এবং একমাত্র মৌল, যার আবিষ্কার হয়েছে পৃথিবীর বাইরে। এ মৌলের ফলে অনেক দিন পর বার্থডে পার্টির ধরন পাল্টে গেল। কারণ, একসময় বাচ্চারা আবিষ্কার করে বসল, বেলুন থেকে এই গ্যাস শুঁকলে তাদের গলার স্বর কার্টুন চরিত্রগুলোর মতো তীক্ষ্ণ হয়ে যায়।

    বোঝা গেল, এই সূত্রগুলো আমাদের সৌরজগতে কাজ করে। কিন্তু গোটা ছায়াপথে তা একইভাবে কাজ করে কি? কিংবা গোটা মহাবিশ্বে? কিংবা এক মিলিয়ন বা কয়েক বিলিয়ন বছর আগেও কি সেগুলো এভাবে কাজ করত? ধাপে ধাপে সূত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

    জ্যোতির্বিদেরা দেখতে পেয়েছেন, নক্ষত্রগুলোও তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেন ও কার্বনের মতো পরিচিত গাঠনিক একক দিয়ে। পরে বাইনারি স্টার বা যুগ্ম তারা নিয়ে গবেষণা করেছেন। এগুলো হলো, এক জোড়া তারা, যেগুলোর একটা আরেকটাকে কেন্দ্র করে পাক খায়। বক্সিং রিংয়ের ভেতর ফাইটাররা ইতস্তত করে যেভাবে পরস্পরকে ঘিরে পাক খায়, অনেকটা সে রকম।

    অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্টদের কাছে অনেক বড় বড় টেলিস্কোপ আছে। এগুলো দিয়ে আমরা আরও অনেক দূরের বস্তু নিয়ে গবেষণা করতে পারি। আর আমরা মহাকাশের যত দূরে দেখব, ততই পেছনের সময় দেখতে পাব। আমি জানি, তুমি কী ভাবছ: ওয়াও! আসলেই তা–ই। এটাই প্রশংসাযোগ্য প্রতিক্রিয়া।

    কোনো এলিয়েন যত উন্নত বা বুদ্ধিমানই হোক না কেন, তারাও কখনো আলোর গতিসীমা পার হতে পারবে না। কিন্তু তারাও সম্ভবত এই ধ্রুবকের সঙ্গে পরিচিত। মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের সব বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ ইঙ্গিত করে যে বিগ জি থেকে শুরু করে আলোর গতির মতো প্রধান ধ্রুবকগুলো কখনো সময় বা স্থান পাল্টে গেলেও বদলে যায় না। একইভাবে যেসব ভৌত সূত্রে সেগুলো ব্যবহার করা হয়, তা–ও বদলে যায় না।

    আমাকে হয়তো খুব বেশি নিশ্চিত দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আসলে সবকিছু জানেন না। আবার আমরা সবকিছুতেই একমত হই না। ভাইবোনদের মতো আমরাও খুব তর্কবিতর্ক করি। কিন্তু আমরা যখন তর্কবিতর্ক করি, তখন আমাদের যুক্তিগুলো নিবদ্ধ থাকে ধারণার প্রতি এবং মহাজাগতিক যেসব ঘটনা আমরা বুঝতে পারি, সেগুলোর প্রতি।

    যখন কোনো সর্বজনীন ভৌত সূত্র জড়িত থাকে, তখন বিতর্কটা সংক্ষিপ্ত হওয়ার গ্যারান্টি থাকে। তারপরও সবাই ওই ধারণা বোঝে না। ক’বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনার এক ডেজার্ট শপে আমি একটা গরম কোকোয়া খাচ্ছিলাম। অবশ্যই উইপড ক্রিমসহ অর্ডার করেছিলাম সেটা। আমার টেবিলে কোকোয়া আসার পর আমি উইপড ক্রিম নামের কোনো বস্তু দেখতে পেলাম না। ওয়েটারকে বললাম, ‘আমার কোকোয়ায় কোনো উইপড ক্রিম দেওয়া হয়নি।’ সে জোর গলায় বলল, ‘আমি ওটা দেখতে পাচ্ছি না। কারণ, তা গ্লাসের নিচে ডুবে গেছে।’

    কিন্তু উইপড ক্রিমের ঘনত্ব কম। মানুষ যেসব পানীয় পান করে, সেসব তরলের ওপর এই ক্রিম ভেসে থাকে। এমনকি হট চকলেটের ওপরও ওটা ভাসে। তুমি মহাবিশ্বের যে প্রান্তেই যাও না কেন, বেশি ঘনত্বের তরলের ওপর কম ঘনত্বের পদার্থ ভেসে থাকবে। এটা একটা সর্বজনীন আইন বা ইউনিভার্সাল ল।

    কাজেই ওই ওয়েটারকে আমি দুটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা প্রস্তাব করলাম: হয় আমার হট কোকোয়াতে কেউ উইপড ক্রিম দিতে ভুলে গেছে, নয়তো পদার্থবিজ্ঞানের সর্বজনীন আইন এই রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে আলাদা। আমার কথা বিশ্বাস করল না ছোকরা। তাই তার দাবির সত্যতা প্রমাণ করতে একদলা উইপড ক্রিম বয়ে আনল। আমার হট কোকোয়াতে একবার বা দুবার দ্রুত ওঠানামা করার পর উইপড ক্রিমটা ওপরে ভেসে উঠল। তারপর সেখানেই ভাসতে লাগল।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও উপায়, এলিয়েন! এলিয়েনদের কার্যকরী কী? প্রযুক্তি বিজ্ঞান যোগাযোগের সঙ্গে
    Related Posts
    মোবাইল গোপনীয়তা

    মোবাইল গোপনীয়তা রক্ষা: আপনার ডিজিটাল জীবনকে নিরাপদ রাখার অপরিহার্য নির্দেশিকা

    July 4, 2025
    FB

    ফেসবুকে টানা কতদিন না ঢুকলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট

    July 4, 2025
    Xiaomi Pad 6S Pro 12.4 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Xiaomi Pad 6S Pro 12.4 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    July 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Ripon

    ‘দেশে আ. লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’

    Education Advisor

    দেশের সব উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপনের কাজ চলছে : শিক্ষা উপদেষ্টা

    ramayan

    ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘রামায়ণ’

    khulna train

    ৬ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

    Jurassic world rebirth credits scene

    Jurassic World Rebirth Credits Scene: Is There a Surprise After the Credits?

    Rakib Hasan

    গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাকিব হাসান

    squid game season 3 ending

    ‘Squid Game’ Season 3’s Alternate Ending: Why It Would’ve Been a Better Finale

    apple iphone 17 pro max

    Apple iPhone 17 Pro Max: A Bold Step Into the Future of Smartphones

    Sitaare Zameen Par

    Sitaare Zameen Par Box Office Collection Day 15: Aamir Khan Film Eyes Rs 150 Crore Milestone

    Bank of Baroda LBO Recruitment 2025: Apply Online for 2500 Officer Posts

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.