জাহাঙ্গীর আলম : নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সনদের কার্যকারিতা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন প্রণয়ন হয়। এ আইনে পুলিশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর আদালতে একাধিক মামলাও হয়। এসব মামলার মধ্যে থানায় নিয়ে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বেশ আলোচিত। আলোচিত এ মামলার রায় আগামীকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হবে।
রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও মামলার বাদী। একই সঙ্গে এ রায়ের মাধ্যমে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলেও আশা রাষ্ট্রপক্ষের। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে খালাস পাবেন তাদের মক্কেলরা।
রায়ে কী আশা করেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের প্রথম রায় বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হবে। মামলার আসামি এসআই জাহিদসহ পাঁচজন। এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তিই আশা করছি।’
মামলার বাদী ও নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেন, ‘এসআই জাহিদ আমার ভাইকে থানায় নিয়ে আমার সামনে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের কোনো অপরাধ ছিল না। আমি এসআই জাহিদসহ পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আশা করছি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের প্রথম রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল বুধবার। আসামি এসআই জাহিদসহ পাঁচজন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’ সূত্র : জাগো নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।