জুমবাংলা ডেস্ক: এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে ৩৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে স্পেক্ট্রা সোলার পার্ক লিমিটেড (এসএসপিএল)-এর সাথে ১৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে প্রস্তুত হতে যাওয়া সোলার পার্কটি প্রথম বেসরকারি খাতের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর অন্যতম।
এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দীর্ঘ-মেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে দেশের প্রচেষ্টা এবং এর পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে জলবায়ু দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে।
স্পেক্ট্রা সোলার পাওয়ার প্রকল্পটির এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এডিবি’র প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক অবকাঠামো অর্থায়নের পরিচালক শান্তনু চক্রবর্তী এবং স্পেক্ট্রা সোলার পার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মো. আফতাবউদ্দিন।
প্রকল্পটিতে এডিবির সাথে সহ-অর্থায়ন করছে ডিইজি – জার্মান বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্পোরেশন এমবিএইচ।
এই খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করে চক্রবর্তী বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশে সৌরজ্বালানি কেন্দ্রগুলো বেসরকারি খাতের জন্য যে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি বিনিয়োগ, তা জোরালোভাবে তুলে ধরল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই যুগান্তকারী প্রকল্পটি নারী ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সকলের জন্যই অনুকূল কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করবে।’
আফতাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসগুলো থেকে জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এডিবি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই প্রকল্পে সহায়তা করায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
এই প্রকল্পে গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল প্রধান আয়োজকের ভূমিকা পালন করেছে।
গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পে এডিবি’র পাশাপাশি ডিইজি’র অর্থায়ন বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশী বিনিয়োগের দুয়ার খুলে গেল। এটা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’
এডিবি ও এডিবি প্রশাসিত কানাডিয়ান ক্লাইমেট ফান্ড ফর দ্য প্রাইভেট সেক্টর ইন এশিয়া ২ সিএফপিএস) এর দুটি ঋণের সমন্বয়ে এই অর্থায়ন হয়েছে।
ডসএফপিএস প্রকল্পটি প্রস্তুতে ও ঋণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কারিগরি সহায়তাও দিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কানাডা সরকার সিএফপিএস ও সিএফপিএস ২ গঠন করেছে।
উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বছরে জাতীয় গ্রিডে ৫০ গিগাওয়াট-ঘন্টার বেশি দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। পাশাপাশি এর ফলে বছরে ৩৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস পাবে।
রূপকল্প-২০২১-এর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।