জুমবাংলা ডেস্ক : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে নেওয়া উদ্যোগগুলো কার্যকর করতে বেসরকারি খাতকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক মো. আখতার হোসেন।
সোমবার সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটির (বিপিএসডব্লিউসি) ফাইভ থিমেটিক গ্রুপের দ্বিতীয় সভায় এই পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অন্যতম অংশীজন হলো বেসরকারি খাত। কাজেই, বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এখানে এফবিসিসিআই’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজি বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই কীভাবে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে কৌশলপত্র তৈরি করা যেতে পারে। এবং এফবিসিসিআই’র সকল সদস্যকে এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহের সাথে সম্পৃক্ত করা এবং তা অর্জনে উদ্যোগী করতে হবে। এক্ষেত্রে, এফবিসিসিআই প্রয়োজন মনে করলে একাডেমিয়া এবং এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারে বলে জানান তিনি।
এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের নানা উদ্যোগ এবং পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক মোঃ আখতার হোসেন। এই অগ্রযাত্রায় এফবিসিসিআই‘র নেতৃত্বে বেসরকারি খাতের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় অংশ নিয়ে, এসডিজি’র এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি খাত এবং জাতিসংঘের এজেন্সি সমূহ কীভাবে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন বিপিএসডব্লিউসি’র সদস্যবৃন্দ। এ সময়, টেকসই উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রভাব এবং গুরুত্ব অনুযায়ী থিমেটিক এসডিজি এজেন্ডাগুলোর ওপর মতামত জানান তারা।
ওয়ার্কিং গ্রুপ-৪ এর কনভেনর এ.কে.এম শামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির এসডিজি ফোকাল পয়েন্ট এবং প্রতিনিধিবৃন্দ, এফবিসিসিআই’র সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা এবং বিপিএসডব্লিউসি’র সদস্য সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, এফবিসিসিআই‘র বাণিজ্য ও ট্যারিফ নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) মহাসচিব ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।