জুমবাংলা ডেস্ক : ৫০ বছর বয়সী নিহার রিসিল একটি টাইলসের দোকানের কর্মী। প্রেম করেন এক নারীর সঙ্গে। কিন্তু এই প্রেমিকাকে নিয়ে ‘খোঁচা’ দেন সহকর্মী মাইনুল ইসলাম তন্ময় (৩৫)। তন্ময় বলতেন, ‘এ বয়সে প্রেম কর কেন? তাকে কি তুমি বিয়ে করতে পারবে? তোমার বয়সই তো এখন ৫০’।
সহকর্মীর মুখে এমন খোঁচা শুনতে মোটেই ভালো লাগত না নিহারের। এই কারণে দুজনের মধ্যে বিতণ্ডাা হতো। এরই মধ্যে আজ সোমবার বিকেলে আরেক দফা ‘খোঁচা’ দেন তন্ময়। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই হাতের কাছে থাকা রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছোরা দিয়ে সহকর্মীকে আঘাত করেন। এতে মারাত্মক আহত হন তন্ময়। পরে অন্য সহকর্মীরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাইনুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শেখ পাড়ার এস এম কামাল উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত নিহার রিসিল শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানর মায়াঘাসি গ্রামের খারিজ সাংমার ছেলে। তারা দুজনই তিলোত্তমা টাইলস কম্পানির কর্মী। তাদের বাসা চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘তারা চার সহকর্মী একই বাসায় থাকতেন। নিহার সেখানে বাবুর্চির কাজ করতেন। তিনি প্রেম করতেন এক নারীর সঙ্গে। কিন্তু ৫০ বছর বয়সে প্রেম করার কারণে তন্ময় খোঁচা দিতেন। এ কারণে ক্ষোভ ছিল’।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘নিহার নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। প্রেমিকাকে নিয়ে খোঁচা মেনে নিতে পারেননি। অতীতেও ক্ষোভের কথা তন্ময়কে বলেছিলেন। কিন্তু তন্ময় সেদিকে কর্ণপাত না করে সোমবার বিকেলেও খোঁচা দেয়। এই কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়’।
উপকমিশনার বলেন, ‘নিহার ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।