ডোভার প্রণালীর একদিকে ফ্রান্স অন্যদিকে ইংল্যান্ড। এ দুই ভূখণ্ডের সেনারা ১০০ বছর ধরে একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। সামরিক ইতিহাসে শতবর্ষের যুদ্ধের ঘটনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক যুদ্ধের জানা-অজানা নানা গল্প আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হবে।
এ দুই পক্ষ তখন সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা করেছিল। ইংল্যান্ডের সিংহাসনে উইলিয়াম ক্ষমতা বসার পর থেকে কিছুটা রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ১৩০৩ সালে প্যারিসের দ্বিতীয় চুক্তি অনুসরণ করতে গিয়ে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের মধ্যে বিয়ের ঘটনার পরে ফ্রান্সের সিংহাসনে ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের কারো বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
পরবর্তী সময়ে ফিলিপ এবং এডওয়ার্ডের এর মধ্যকার দ্বন্দ্ব থেকে যুদ্ধের আরম্ভ হয়। ১৩৫৮ সালের লন্ডনে একটি চুক্তি হয়। কিন্তু সেই চুক্তি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
ইংল্যান্ডের শাসক হেনরি দ্যা ফিফথকে অনেকেই চেনেন শেক্সপিয়ারের লেখার কল্যাণে। ওসমানী সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের সেনারা বাজেভাবে পরাজিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
এরপর ব্রিটিশ সেনাদের কাছে ফরাসিরা অনেকটুকু ভূমি হারিয়ে ফেলে। তবে চার্লস ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফ্রান্স তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করে এবং তার অবস্থান শক্তিশালী হয়।
ব্রিটিশরা এ যুদ্ধে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। শত বর্ষের যুদ্ধ চলাকালীন সময় উভয়পক্ষ তাদের নিজেদের সামরিক শক্তিতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ব্রিটিশদের কাছে ছিল দক্ষ তীরন্দাজ বাহিনী।
পরবর্তী সময়ে বারুদের ব্যবহার শুরু হয়। অন্যদিকে ফরাসিরা কামানের ব্যবহার এ দক্ষ হয়ে উঠে। তাদের উন্নত আর্টেলারি ছিলো। যুদ্ধের শেষ পর্যায় এ ব্রিটিশ বাহিনি পরাজিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।