অনেকেই মনে করেন ওয়াই-ফাই সিগন্যাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ নিয়ে দুশ্চিন্তাও করেন অনেকে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে সাধারণত রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে কম্পিউটার ও ফোনকে তারের সংযোগ ছাড়া ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এসব সংকেতের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি ২ থেকে ৫ গিগাহার্ডজের মধ্যে হয়ে থাকে।
মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রেও একই মাত্রার তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে নন-আয়নাইজিং বিকিরণ হয়ে থাকে, যা মানুষের কোষ বা ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি বহন করে না। আর তাই ওয়াই-ফাই সিগন্যাল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি খুঁজে বের করতে আড়াই লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের তথ্য পর্যালোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের (আইএআরসি) গবেষকেরা।
কসমস প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা মোবাইল ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলেন, তাঁদের ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক কম সময় ফোন ব্যবহার করা ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি নয়। কানাডা সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সিগন্যাল স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।