জুমবাংলা ডেস্ক: রাজবাড়ীরতে চাষ হচ্ছে ওষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’। চাল পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি হওয়ায় এ ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।
রাজবাড়ী সদরের কামালপুর এলাকায় কৃষক রেজাউল করিম এবারই প্রথম তার ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের চাষ করছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্য ধানের মতোই দেখতে এই ধান গাছ। তবে প্রতিটি গাছের ডগায় কালো কালো ধানের শীষগুলো ঝুলছে।
চাষি রেজাউল করিম ও মিন্টু শেখ বলেন, ‘চীনের রাজা-বাদশাহদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো ধান চাষ হতো। তবে এ ধান প্রজাদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। ওষধি গুণাগুণের কারণে এই ধান চাষের ইচ্ছা জাগে। পরে ইউটিউব দেখে এই ধানের চাষাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানি। ৫০০ টাকায় এক কেজি ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশে ১৫ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ শুরু করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যেই ধান ঘরে তোলা যায়। অন্য ধানের তুলনায় রোগবালাইও কম। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি। এই জমি থেকে যে পরিমাণ ধান হবে তা পুরোটাই রেখে দিয়ে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে রোপণ করা হবে।’
কালো ধান চাষ দেখতে আসা রিপন বলেন, ‘ইউটিউবের মাধ্যমে এই ধানের চাষ দেখেছি। এই ধান প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। পাংশা পৌর শহরে এই ধান চাষ হচ্ছে জেনে দেখতে এসেছি। ধান দেখে খুব ভালো লেগেছে। আগামীতে আমিও এই ধান চাষ করবো বলে
চিন্তা করছি।’
আবুল হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘ধানগাছগুলো বেশ সুন্দর এবং অন্য ধান গাছের মতোই। শুধু ধানগুলো কালো। আর এই কালো ধান থেকেই বের হবে কালো রংয়ের চাল।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুনেছি এই চালে ওষধিগুণ আছে। এই ধানের চালের ভাত খেলে অনেক রোগবালাই কমে যায়। তাই এই চালের ভাত কেমন তা খাওয়ার জন্য এই ধান সংগ্রহ করব।’
রাজবাড়ী সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বসির আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এই ধানের চাল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।