কক্সবাজার প্রতিনিধি: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে আইনী সহায়তা দিতে চট্টগ্রামের পাঁচজন আইনজীবী এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
এই পাঁচজন আইনজীবীর মধ্যে রয়েছেন এ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা, এ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন, এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন এবং ব্যারিস্টার সাঈদ মঈনুল আহসান। তাদের সাথে দুইজন সহকারীও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার এসে তারা সবাই কলাতলিস্থ ওয়েস্টিন হোটেলে উঠেছেন।
এ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে পিপি ও সাকা চৌধুরীর প্যানেল আইনজীবী ছিলেন। ব্যারিস্টার সাঈদ মঈনুল আহসান এ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনার ছেলে।
জানা গেছে, কক্সবাজারে অবস্থানরত আইনজীবীরা ওসি প্রদীপকে আইনী সহায়তা দিয়ে তার জামিন চাইবেন এবং নতুন করে আর রিমান্ড না দিতে আদালতে আবেদন জানাবেন।
এদিকে, বন্দুকযুদ্ধের নামে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে চারটির পর আরও একটি অভিযোগ উঠেছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) মো. হেলালের আদালতে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার এই অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সেনোয়ারা বেগম।
বাদীর আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, আবদুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আবদুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কিনা, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।