জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের জব্দ করা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদীপ-চুমকির মালিকানায় থাকা চার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে চার কোটি ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকার সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে থাকা সম্পদের রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেছিলেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত সেটা গ্রহণ করে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় একটি ভবন, পাঁচলাইশে জমি এবং দুটি গাড়ির রিসিভার হিসেবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজারে প্রদীপের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাটের রিসিভার হিসেবে নিয়োগের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জব্দ করা স্থাবর সম্পদের দেখভাল করবেন দুই জেলা প্রশাসক।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় কারাবন্দী প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের আদালত। ঘটনার পর টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রদীপ কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।