বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের গর্ব। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ওয়ালটন আমাদের সুযোগ্য অংশীদার। তাই আমি আশা করবো ২০২৫ সালের মধ্যে ওয়ালটন ৫ বিলিয়ন রফতানি করে বিলিয়ন ডলার রফতানি কোম্পানিতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, এই যাত্রায় ওয়ালটনের ‘ওয়ালকার্ট’ ওয়ালমার্ট-কে ছাড়িয়ে ‘স্টার্ট স্মল গ্রো ফাস্ট’ প্রত্যয়ে বিশ্বে লাল-সবুজর পতাকাকে সমুন্নত করবে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরট অফিসে অনুষ্ঠিত ওয়ালমার্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেলেন সদ্য বিয়ে হওয়া অভিনেত্রী অঙ্কিতা
পলক বলেন, ই-কমার্সের ধাক্কা সামলাতে নতুন বছরেই আইসিটি বিভাগের ৪টি সুপারিশ আলোর মুখ দেখেবে। আগামী মাস নাগাদ ইউনিক বিজনেস আইডি, ডাকবিভাগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় লজিস্টিক চ্যানেল, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো চালু হবে। এর মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতে আস্থার যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা ঘুচে যাবে। এজন্য মঞ্চ প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ১৩ কোটি ইন্টারনেট সংযোগ, লজিস্টিক ও প্রোডাক্ট ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল, ১০ কোটি এমএফএস আছে আমাদের। এখন আস্থা পুনরুদ্ধারের পালা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে ওয়ালটন একই তালে তাল মিলিয়ে চলছে’ উল্লেখ করে আইসিটি খাত থেকে রফতানি লক্ষমাত্রার এক পঞ্চমাংশ অর্জনে ওয়ালটনকে দায়িত্ব দেন পলক।
এই দায়িত্ব দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন আমরা ওয়ালটেন কাছে কৃতজ্ঞ। ওই সময়েও তারা তাদের উৎপাদন চালু রেখেছে। বিশ্বে যখন বিভিন্ন শিল্প-মালিকরা কর্মী ছাঁটাই করেছে, কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেই সময়ে কর্মী ছাঁটাই না করে আরো ৫ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ করায় ওয়ালটন পরিবারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশপ্রেম এবং সৎ উদ্দেশ্য ও সহাস না থাকলে এটা সম্ভব হতো না। দেশের স্টার্টআপরা এখন বিশ্বের ৬০টি দেশে সফটওয়্যার রফতানি করছে জানিয়ে ওয়ালটন-কেও এই খাতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান পলক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনির এবং বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ালট মার্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।
ওয়াল কার্ট চেয়ারম্যান এস এম মঞ্জুরুল আলম অভির আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ওয়ালটন চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভি, এস. এম. আশরাফুল আলম তৃতীয় প্রজন্মের হাতে নতুন দায়িত্ব অর্পন করেন। ওয়ালকার্ট থেকে অনুষ্ঠানেই প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুষ্ঠানে উন্মোচিত প্রিমিও এস-৮ মডেলের দুইটি ফোন বিক্রি করেন ওয়ালটন সিইও গোলাম মুর্শেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।