কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা সব দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। জেলা প্রশাসনকে এসব স্থাপনার লাইসেন্স ও অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
১৯৯৯ সালে কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ইসিএ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী এই এলাকায় ক্ষতিকর সব কার্যক্রম যেমন বন উজাড়, বন্যপ্রাণি শিকার, ভূমি ও পানির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন, দূষণকারী শিল্প স্থাপন এবং বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনও করা যাবে না।
২০১৮ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্টও উল্লেখ করেছে যে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ইসিএ বিধিমালা অন্যান্য সব আইনের চেয়ে প্রাধান্য পাবে। তবুও আইন ভঙ্গ করে শত শত দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হয়েছে, যা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি তৈরি করছে এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।