জুমবাংলা ডেস্ক : দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় উপকূলের পাশে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। সোমবার (২৫ জুলাই) কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে সাড়ে ৭টন ইলিশ। মাছের আড়ত ও ফিশারি ঘাট ইলিশে ভরে গেলেও দাম এখনো নাগালের বাইরে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
রবিবার ও সোমবার দুই দিনে ধরা পড়েছে ৩২ টন মাছ। এরমধ্যে সাড়ে ১৯ টনই ইলিশ। বাজারে মিলছে ৮০০ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ।
ব্যবসায়ী ও জেলেদের তথ্য মতে, ১৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। পাইকারিতেই ১২০০ থেকে ১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০০ টাকায়। সোমবার দুপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ১২-১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। ৬০০ গ্রামের ওপরে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, কেজিতে ২-৩টি ধরে এমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। আরও ছোট সাইজের কেজিতে চারটি ধরে এমন মাছের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কক্সবাজার বড় বাজারে মাছ কিনতে আসা সেলিম উল্লাহ জানান, রবিবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে-এমনটি টেলিভিশন ও পত্রিকায় দেখে বাজারে এসেছি। যেহেতু ইলিশ বেশি পড়ছে তাই দাম কিছু কম হবে আশা করেই বাজারে এসেছিলাম। কিন্তু আশাহত হলাম। বড় একটি ইলিশ কেজিতে এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা চাচ্ছে। ছোট সাইজের ইলিশ ৮০০ টাকা কেজি। এতো বেশি দামে ইলিশ কেনা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার আহসানুল হক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনে সাড়ে ১৬ টন মাছ এসেছে। আশা ছিল সোমবার আরও বেশি মাছ আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সোমবার ইলিশসহ মাছ এসেছে সাড়ে ১৫ টন। এরমধ্যে ইলিশ হলো সাড়ে ৭টন। রবিবার আসা সাড়ে ১৬ টনে ১১ টন ৭০০ কেজি ছিল ইলিশ। প্রথম দিন প্রায় ইলিশের ওজন ছিলো ৬০০-৭০০ গ্রাম। সোমবার পাওয়া ইলিশের ওজন ৮০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম।
কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, ‘দু’মাস ৫দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেও কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের খুব একটা দেখা পাননি জেলেরা। সোমবার বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। জেলায় ছোট-বড় মাছ ধরা ট্রলার আছে প্রায় ছয় হাজার। এসব ট্রলার নিয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জেলে-শ্রমিক সাগরে গেছেন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত ৬৩ হাজার ১৯৩ জেলে পরিবারগুলো ৫৬ কেজি করে চাল পেলেও অনিবন্ধিত জেলে পরিবারে কিছুই জোটেনি। এখন মাছ মিলছে, সেসব পরিবারে খাবারের সমস্যা দূর হবে বলে আশা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।