উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনা অত্যান্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি প্রতি আউন্সে এর দাম বেড়েছে 2,350 ডলার। আপনি কখন আপনার সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন এ নিয়ে আপনার যা যা জানা দরকার তা এখানে তুলে ধরা হলো।
আপনার সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন যখন মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়। স্বর্ণ প্রায়ই মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসাবে কেনা হয়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, তাহলে আপনার সোনা বিক্রি করার জন্য এটি একটি ভাল সময় হতে পারে। এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সময়ে সোনা কিনে থাকেন।
যখন অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয় তথন সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন। আপনি যদি মনে করেন অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল বা ইতিবাচক হয়ে উঠছে, আপনি আপনার সোনা বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। অনিশ্চয়তা কমে গেলে সোনার চাহিদা ও দামও কমতে পারে।
যখন সোনার মান অন্যান্য মূল্যবান ধাতু থেকে আলাদা হয় তথন সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন। সোনার মান সাধারণত রূপার মত অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সাথে যুক্ত থাকে। যদি সোনার মূল্য রৌপ্যের তুলনায় খুব বেশি হয়, আপনি কিছু সোনা বিক্রি করতে পারেন। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দাম কম হলে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে বলে ধরে নিতে হবে।
যখন সোনার দাম অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়ের সাথে মেলে না তখন সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন। কখনও কখনও সোনার দাম বন্ডের মতো অর্থনৈতিক কারণের সাথে মিলে না। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কেনাকাটার মতো প্রযুক্তিগত কারণে সোনা ভাল পারফর্ম করতে পারে, তবে এ অবস্থা পরিবর্তনও হতে পারে।
যখন আপনি আপনার বিনিয়োগ লক্ষ্যে পৌঁছাবেন তখন সোনার বিনিয়োগ বিক্রি করবেন। এখানে সোনা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য, সময়সীমা এবং ঝুঁকি সহনশীলতার উপর নির্ভর করে। অন্যান্য সম্পদের তুলনায় সোনার প্রতি আপনার পারস্পেকটিভ কেমন হবে সেটি বিবেচনা করুন। আপনার সোনার হোল্ডিং বিক্রি করবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।