মালয়েশিয়ায় কনটেইনার থেকে উদ্ধার সেই কিশোর দেশে ফিরছে
জুমবাংলা ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে খালি কনটেইনার থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৪) অবশেষে দেশে ফিরছে। অভিবাসন বিভাগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাকে দেশে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এমএইচ ১৯৬ ফ্লাইটযোগে কুয়ালালাম্পুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মকছেদ আলী কিশোর রাতুলকে নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছবেন। পরে রাতুলকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গেছে। সময় সংবাদকে এই তথ্য জানিয়েছেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) এ.এস.এম জাহিদুর রহমান।
এদিকে, দেশটির সেইফ হোমে রাখা কিশোর রাতুলের সঙ্গে দেখা করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর। এ সময় তিনি রাতুলের হাতে খাবার তুলে দেন। ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম)।
উল্লেখ্য, মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজটি গত ১২ জানুয়ারি ১,৩৩৭টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ঠিক ৫ দিনের মাথায় ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি পোর্ট ক্লাং বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালে বন্দরের একজন কর্মী খালি কনটেইনারের মধ্যে শব্দ শুনতে পান। তারা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পোর্ট ক্লাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানালে ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর অনুমতি দেন। এরপর সন্দেহজনক কন্টেইনার থেকে ওই কিশোরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত বছরের শেষ দিকে ফাহিম বাড়ি থেকে ‘নিরুদ্দেশ’ হয়। এরপর কিভাবে সে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে করে মালয়েশিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা পরিষ্কারভাবে কিছুই বলতে পারেননি। রাতুল কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের মো. ওমর ফারুক ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। পেশায় দিনমজুর ফারুকের তিন ছেলের মধ্যে ফাহিম সবার বড়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।