জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কনের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপক সমাগম। বর আসছে হাতিতে চড়ে। হাতিতে চড়ে বর আসার খবর পেয়ে ভিড় জমিয়েছিল উৎসুক এলাকাবাসী। তবে বিপত্তি ঘটল হঠাৎ পুলিশ হাজির হয় বিয়ে বাড়িতে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলছাত্রীকে ধুমধাম করে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হাজির হয়।
অপরদিকে কনের বাড়িতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে বরপক্ষ দ্রুত হাতি ফিরিয়ে দিয়ে সবকিছু গুটিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ঘটেছে। তবে কনের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় চেয়ারম্যানের পরিবার ও তার সমর্থকদের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় পুলিশ দিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের এক চাকরিজীবী ছেলের পারিবারিকভাবে আগেই কাবিন করানো হয়। কনেকে শ্বশুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক আয়োজন করা হয়। অর্ধশতাধিক বর যাত্রী নিয়ে হাতির পিঠে চড়ে বর আসবে বলেও ঠিক ছিল। কিন্তু কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পুলিশের হানায় বিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে বিয়ে বাড়ির আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরো জানা গেছে, কনেপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পরিবারের পূর্বশত্রুতা রয়েছে সে কারণে বিয়ে বন্ধের এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কনের এক চাচা বলেন, বিয়ের কাবিন আগে থেকেই হয়েছিল। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে উঠানোর দিন ছিল। বর আসার কথা ছিল হাতিতে চড়ে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিবারের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা থাকায় খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।
এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার এলাকায় বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তাদের সাথে কোনো শত্রুতা নেই। দাওয়াত দিক আর না দিক, এমন বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে আমি কোনোদিনও যাই না। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।