জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ১নং বাগানবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামে স্বামীর দেয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারাযান দুই কন্যা সন্তানের মা ফাতেমা আক্তার। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে দগ্ধ ফাতেমা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আবদুল গফুরের কন্যা। অপরদিকে ফাতেমার স্বামী ঘাতক ইমাম হোসেন (৩০) মোহাম্মপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। বেশ কয়েকবছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাতেমার কোলে আসে একটি কন্যা সন্তান । এতে শশুর বাড়ির লোকজন খুশি হয়নি। কয়েকবছর পর আবার ফতেমা আরেকটি কন্যা সন্তান জম্মদিলে শশুর বাড়ীর লোকজন বেশ নাখোশ হন। তারা ফাতেমার উপর ক্ষিপ্ত হন। গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ফাতেমার গায়ে আগুন দেয়। আগুনে ফাতেমার শরীরের মুখমন্ডলসহ প্রায় ৭৫ শতাংশ অঙ্গ পুড়ে যায়। ফাতেমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো পরামর্শ দেন। অবশেষে আজ মঙ্গলবার সকালে দগ্ধ ফাতেমা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। ফাতেমার ২ কন্যা সন্তানের প্রস্রব হওয়ার কারণে শশুর বাড়ির লোকজন কটুক্তি করতো প্রায় সময়। বেশ কয়েকবার স্থানীয় সালিশীর মাধ্যমে তাদের মিলমিশ করে দেয়া হয়। এরপরেও স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ রবিবার রাতে ফাতেমার স্বামী মাদকাসক্ত বাড়ী ফেরা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ফাতেমার। কথা কাটিকাটির এক পর্যয়ে ফাতেমের স্বামী ফাতেমার গায়ে আগুন দেন। কন্যা সন্তান জম্ম দেওয়ায় প্রায় সময় শশুর বাড়ীর লোকজন ফাতেমাকে মানসিক নির্যাতন করত।
ভুজপুর থানার এস আই সুমন চন্দ্র দাস বলেন, গৃহবধুকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বামী ও শশুর কে আটক করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে দুই আসামিকে কোটে প্রেরণ করে রিমাণ্ড চাওয়া হয়েছে। ফাতেমা বাবা ভুজপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। ফাতেমা মৃত্যুবরণ করায় থানায় দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।