লাইফস্টাইল ডেস্ক : এই ঋতুতে অনেক ধরনের শীতের সবজি পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এ দুই ধরনের কপিতেই রয়েছে পুষ্টিগত উপকারিতা। অতিরিক্ত গ্রহণে বা বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ফুলকপি ও বাঁধাকপি গ্রহণের পরিমাণ না কমালে তাতে হতে পারে জটিলতা।
ফুলকপি
সুস্বাদু এই সবজিতে খুব ভালো পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর ফাইবার বেশ কার্যকর। কিডনি সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। আয়রন থাকে, তাই এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। শরীরের রক্তস্বল্পতাও দূর করে। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা আমাদের দেহের কোলাজেন তৈরি করে রিংকেল বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, হার্ট ভালো রাখতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো। ক্রুসিফেরাস সবজি ও আয়োডিনের প্রাপ্যতার ওপর থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের উচিত ফুলকপি বাদ দেওয়া।
বাঁধাকপি
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এবং ক্যালরি অনেক কম থাকায় ওজন কমাতে বাঁধাকপির জুড়ি নেই। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত বাঁধাকপি খেতে পারেন।
সম্প্রতি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, আলসার সারাতে বাঁধাকপি সাহায্য করে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে হাড় মজবুত হয়। এ ছাড়া এতে বিদ্যমান আয়রন রক্তস্বল্পতা কমাতে কার্যকর। চুল কোমল ও মসৃণ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
বাঁধাকপি পরিপাকে অসুবিধা হলে গ্যাসট্রাইটিস বেড়ে যায়। বাঁধাকপির কারণে পেট ফাঁপাভাব হতে পারে। বাঁধাকপি, ব্রকলির মতো ক্রুুসিফেরাস সবজি পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন
নাহিদা আহমেদ
গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।