আমরা জানি চুম্বক সব সময় লোহা বা চুম্বকের বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করে। সুতরাং কম্পাসের কাঁটাও নিশ্চয়ই চুম্বকের প্রভাবে কাজ করে। কম্পাসের কাঁটা একটি চুম্বক। এর দুই প্রান্ত উত্তর ও দক্ষিণ মেরু। কোনো স্থানে ভূমির সমান্তরালে কম্পাস রাখলে এর কাঁটা একটু নড়াচড়া করে স্থির অবস্থানে আসে।
তখন কাঁটার কালো রংয়ে চিহ্নিত অংশ যে দিক নির্দেশ করে সেটাই পৃথিবীর উত্তর দিক বলে আমরা নিশ্চিত হই । কম্পাস কাঁটার কালো রং চিহ্নিত অংশটি চুম্বক কাঁটার উত্তর মেরু। এর বিপরীত দিক পৃথিবীর দক্ষিণ দিক। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি উত্তর দিকে নিশ্চয়ই কোনো চুম্বকের দক্ষিণ মেরু রয়েছে, যার আকর্ষণে কম্পাস কাঁটা ওই দিকে যায়।
কিন্তু ভূপৃষ্ঠে কোনো চুম্বক তো আমরা কখনো দেখি না। তাহলে কোনো অদৃশ্য চুম্বকের প্রভাবেই কি কম্পাস কাঁটা কাজ করে? হ্যাঁ, ঠিক তা–ই। আমাদের পৃথিবীর চারপাশে রয়েছে ভূ–চৌম্বক ক্ষেত্র। পৃথিবী নিজ অক্ষরেখার চারপাশে সব সময় ঘুরছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই ঘূর্ণনের সময় পৃথিবীর ভেতরের তরল লোহা, নিকেল প্রভৃতি আকরিকের ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট বৈদ্যুতিক চার্জ ভূ–চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি করে।
এই চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরু পৃথিবীর ভৌগোলিক উত্তর মেরুর প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। এর আকর্ষণেই কম্পাস কাঁটা সব সময় পৃথিবীর উত্তর–দক্ষিণমেরু বরাবর থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।