কম্পিউটার জীবন্ত কিছু নয়, নিষ্প্রাণ যন্ত্র। আর এর অ্যান্টিভাইরাসও নিষ্প্রাণ কিছু প্রোগ্রাম। কম্পিউটার চলে মূলত কিছু প্রোগ্রামে। সেখানে কেউ কম্পিউটারের কাজে ওলট–পালট লাগানোর জন্য যদি এমন কিছু প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দেয়, যেন যোগ করতে বললে বিয়োগ করে, গুণ করতে বললে ভাগ করে, তাহলে গোলমাল লেগে যাবে।
বলা হয় কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকেছে, সে জন্যই উল্টা–পাল্টা করছে। এই গোলমাল বন্ধের জন্য কম্পিউটারে এমন ব্যবস্থা করা হয়, যেন ভাইরাস ঢুকতে না পারে। এ জন্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এখানে এই অ্যান্টিভাইরাসকে আমাদের জীবনযাত্রায় আসল ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকা বা ভ্যাকসিনের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
টিকা যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ভাইরাস ঠেকায়, তেমনি কম্পিউটারের অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারের ভাইরাসকে ঠেকায়। কোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম কম্পিটারে ঢুকতে চাইলে অ্যান্টিভাইরাস আটকে দেয়। কম্পিউটার ভাইরাস মূলত তথ্য পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
কোনো ই–মেইল খুললে বা অপরিচিত কোনো প্রোগ্রাম ডাউনলোড করলে কম্পিউটার সংক্রমিত হয়ে পড়ে। তখন ভাইরাস কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরাট ওলট–পালট লাগিয়ে দিতে পারে। সাধারণ ভাইরাসরোধে বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাসে কাজ চলে। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষায় ফায়ারওয়াল বা এ ধরনের বিভিন্ন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন চক্র প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করছে। সে অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাসও নিয়মিত আপডেট করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।