জুমবাংলা ডেস্ক: কম খরচে অধিক উৎপাদন হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার চরাঞ্চলের কৃষকরা। বাদাম চরাঞ্চলের রুপা নামে খ্যাত। বাদাম চাষে সার, সেচ খুব কম প্রয়োজন হয়। আর নিড়ানী ছাড়াই অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার কাজলা, ধারা বর্ষা, বোহাইল, ছোনপচা, ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী চরসহ দুই উপজেলার চরগুলোতে বাদাম লাগাতে ব্যস্ত কৃষকরা। চরের মাটিতে দিনমজুর ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাদাম চাষে ব্যস্ত আছেন।
সারিয়াকান্দীর উপজেলার ছোনপচা চরের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতি বছরই বাদাম চাষ করি। বাদাম চাষে খরচ খুব কম। সারা বছর বাজারে বাদামের বেশ চাহিদা থাকে। আর বাজারদরও ভালো। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা জমি থেকেই বাদাম কিনে নিয়ে যায়। বাদাম চাষকরেই চরাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার স্বচ্ছল হয়েছে।
ধুনটের শহড়াবাড়ী চরের সামছুদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও বাদাম চাষ করেছি। চরে বিঘা প্রতি ৭ মণ বাদাম উৎপাদন হয়। গত বছর প্রতি মণ বাদাম ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আশা করছি এবছর আরো বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো।
একই চরের চাষি আবুল হোসেন বলেন, এবছর আমি ২০ শতক জমিতে বাদামের চাষ করেছি। বাদাম শুধু বুনে রাখলেই হয়। এতে সার, সেচ নিড়ানী দিতে হয় না। তাই বাদাম চাষে করে লাভবান হতে পারি।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় বলে বগুড়ার চরাঞ্চলে দিন দিন বাদামের চাষ বাড়ছে। এবছর সারিয়াকান্দী ও ধুনট উপজেলার চরে এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন।
সারিয়াকান্দী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, চরের মাটি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। তাই সারিয়াকান্দী এবং ধুনটের চরাঞ্চলে বাদামের ফলন ভালো হয়। এসব চরে স্থানীয় জাতের বাদাম চাষ হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।