কম খরচে বেশি লাভ, দিনবদলের আশায় গাজর চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
জুমবাংলা ডেস্ক: গাজর চাষে তুলনামূলক খরচ কম ও এতে রোগবালাইয়ের আক্র/মণ কম হয়। বাজারে ভালো দরে বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হতে পারেন। তাই দিন দিন এই জেলার চাষিরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। লালমনিরহাটের জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গাজর চাষ। এখানকার আবহাওয়া মাটি গাজর চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
লালমনিরহাটের মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের হাজারও কৃষক গাজর চাষ করছেন। এর চাষে খরচ কম এবং বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে এর চাষ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। ধীরে ধীরে এই জেলায় গাজরের চাষির সংখ্যা বাড়ছে। চলতি মৌসুমে মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে গাজরের চাষ করা হয়েছে। চাষে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি সব খরচ বাদে লাখ টাকা আয় করতে পারবো। উত্তর সাপটানা এলাকার গাজর চাষি মৃণাল চন্দ্র রায় বলেন, আমি এক একর জমিতে গাজরের চাষ করেছি।
কৃষক বুলু মিয়া বলেন, আমি অন্যান্য বছরের মত এই বছরও গাজরের চাষ করেছি। এর চাষে খরচ কম। শুধু মাত্র জৈব সারের ব্যাবহারে বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। এই ফসল চাষে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো। আরও কৃষকরা জানায়, গাজর চাষে জমি থেকে ৩বার ফসল সংগ্রহ করা যায়। এর ডালপালা পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লালমনিরহাটের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, লালমনিরহাটের মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে প্রচুর পরিমানে গাজর চাষ হয়। তার মধ্যে মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্যে কাকেয়া টেপা, ভাটিবাড়ী, কোদালখাতা, ফুলগাছে গাজরের আবাদ বেশি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাজার দর ভালো থাকে বলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।