লাইফস্টাইল ডেস্ক: আপনিও কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? যদি হে, তাহলে এইটা মনে রাখুন যে কম টাকায় ব্যবসা করার অনেক উপায় বা আইডিয়া আমাদের কাছে রয়েছে। আজ অনেকেই এই ক্ষুদ্র ব্যবসার ধারণা নিয়ে বা করে নিজের জীবন চলাচ্ছেন। ছোট ব্যবসা বা ক্ষুদ্র বিজনেস আমরা ওগুলিকে বলি যেগুলি ব্যবসাতে অনেক কম টাকা বা পুঁজির প্রয়োজন হয়।
কিন্তু, এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, কম টাকায় আরম্ভ করা ছোট ব্যবসা সবসমই ছোট বা ক্ষুদ্র নাও থাকতে পারে। আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন বরো ব্যবসা হয়ে উঠতেই পারে।কিন্তু তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর মন, কাজ করার ইচ্চা এবং ধর্য্য শক্তির প্রয়োজন হবে। তাহলেই, আপনি নিজের ক্ষুদ্র বিজনেস কে বরো করেনিতে পারবেন।
নিজের একটি ব্যবসা আরম্ভ করাটা সবাইর একটা স্বপ্ন বা ইচ্ছা। কিন্তু, বেশিরভাগ লোকেরা ব্যবসার স্বপ্নটি পুরো করতে পারেনা কম টাকার সমস্যার জন্য। আর তাই, আমি আপনাদের ১০ টি এমন ক্ষুদ্র ব্যবসার বিষয়ে বলবো যেগুলি আপনি অনেক কম পুঁজিতে আরম্ভ করতে পারবেন।
আপনার নিজের একটি business এর স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবেনা। আপনার হাথে যতটাই টাকা আছে তা দিয়েই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ, কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়, কি বেশি লাভের ব্যবসা বা কোনটা ভালো ব্যবসা তার ১০ টি ধারণা বা আইডিয়া আমি নিচে বলবো।
যদি আপনি ৯ থেকে ৫ office job করছেন তাহলে নিচে দেয়া business idea গুলি দ্বারা আপনি part-time business বা আয় করতে পারবেন। এবং, যদি আপনি একটি student বা job করছেন এবং এখন নিজের একটি ব্যবসা কম পুঁজিতে start করতে চাচ্ছেন তাহলে নিচে দেওয়া বিজনেস গুলি থেকে যেকোনো একটি করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় কিভাবে করা যায় : কম টাকায় ব্যবসা করার কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া বা ক্ষুদ্র ব্যবসার উপায় জেনেনেই। আর, যা আমি আগেই বলেছি এই business গুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে স্টার্ট করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিজের business বড় করার জন্য বা success হওয়ার জন্য আপনার আগ্রহ থাকতে হবে।
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া (small business) নিচে আমি ১০ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার ব্যাপারে বলছি যেগুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে যেকোনো সময় আরম্ভ করতে পারবেন।
১. মোবাইল রিপেয়ারিং (mobile repairaing) এর ব্যবসা: আজ মানুষের হাতে হাতে এবং ঘরে ঘরে smatphone আছে। আর, এই স্মার্টফোন ফোন গুলি খারাপ নিশ্চই হয়। তাই, আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই কামিয়ে নিতে পারবেন। কারণ, মানুষ মোবাইল কিনবের আর মোবাইল যিহেতু একটা electronic তাই ও খারাপ হবেই এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই।
মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করতে আপনার বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবেনা। আপনার প্রথোম একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর course করতে হবে যেটা ৩ থেকে ৪ মাসেই হয়ে যাবে। এবং, এই কাজ বা কোর্স করতে আপনার বেশি পয়সার প্রয়োজন নেই। কেবল ৩ থেকে ৫ হাজারে এই course করা যায়। আপনি যদি চান তাহলে youtube এ ভিডিও দেখে ফ্রি তে mobile repairing এর কাজ শিখতে পারবেন।
এখন রইলো দোকান। নিজের রিপেয়ারিং ব্যাবসা জন্য আপনার একটি দোকানের প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন, মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন হবেনা। কেবল নিজের কাজ টুকু করার মতো একটি ছোট্ট দোকান নিলেই হবে। তাই, এখানেও আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন নেই।
এখন, course করার পর নিজের দোকান নেয়ার পর আপনার টাকার প্রয়োজন হবে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। Mobile repairing এর কাজ করার জন্য আপনার কিছু যন্ত্র পাটির প্রয়োজন যেগুলি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার ভেতরে হয়ে যাবে। তাই, এই মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যাবসা আপনি ১০ হাজার টাকার ভেতরে আরম্ভ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
২. ফুলের দোকানের business (flower shop): আজকাল সেই business তাড়াতাড়ি চোখে পড়ে বা তাড়াতাড়ি success হয় যেগুলি অনন্য (unique) এবং মার্কেটে খুব কম পরিমানে রয়েছে এবং যেগুলির চাহিদা (demand) অনেক বেশি। সেরকমই, ফুলের দোকানের ব্যবসা খুব কম লোকেরা করছেন এবং এই ব্যবসার চাহিদাও অনেক রয়েছে।
তাই, আপনি অনেক রকমের ফুল গাছ এবং ফুল নিজের দোকানে রেখে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। মানুষে বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোনো উপলক্ষতে ফুল বা ফুল দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া দিয়ে অনেক ভালো বসেন। আর তাই, এই রকমের উপহার আজকাল অনেক জনপ্রিয়।
আপনি, অনেক কম টাকা লাগিয়ে একটি flower shop খুলে তাতে অনেক রকমের ফুলের তোড়া বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসাটা অনেক কম লোকেরা করে আর তাই এর চাহিদা বেশি এবং এতে আপনি কম সময়ে success হতে পারবেন। ফুলের দোকান এর business করতে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন হবেনা।
আপনার, কেবল একটি ছোট্ট দোকান নিতে হবে এবং অনেক রকমের ফুল কিনতে হবে। বাকিটা আপনার হাতের কাজ এবং বুদ্ধির ওপরে নির্ভর করবে। এক একটি ফুলের তোড়া আপনি বানিয়ে নিজের মন মতো দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এই ফুলের দোকানের ব্যবসা কম টাকাতে অনেক লাভের ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে।
৩. অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা: আপনি এইটা তো জানেন যে আজকাল বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কেনা কাটা করতে ভালো বাসে। কারণ, online shopping ওয়েবসাইটে কম খরচে ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং জিনিস লোকেরা করে বসেই পেয়ে যায়। এই ব্যবসা যদি আপনি ভালোকরে ধারেনিতে পারেন তাহলে আপনি খুব কম সময়ে অনেক ইনকাম করতে পারবেন।
তাই, আপি যদি কম খরচে লাভের ব্যবসা করতে চান, তাহলে অনলাইন shopping store বা shopping website বানাতে পারেন।শপিং ওয়েবসাইট বানাতে আপনার বেশি খরচ হবেনা। আপনি কোনো website developer কে দিয়ে ১০ হাজারে একটি শপিং স্টোর বানিয়ে নিতে পারবেন।
তাছাড়া, আপনি নিজেই WordPress এর মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। WordPress এর দ্বারা একটি ফ্রি online shopping website কিভাবে বানাবেন তা জানার জন্য আপনি YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন। নিজের অনলাইন shopping ওয়েবসাইট বানানোর আগে আপনার product এর বেপারে ভাবতে হবে। মানে, আপনি অনলাইনে কি বিক্রি করতে চান, তা আগেই ভেবে নিতে হবে।
আপনি একটি বা অনেক সামগ্রী (product) নিজের স্টোরে বিক্রি করতে পারবেন। খালি এতটুকু মনে রাখবেন, আপনি যা সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করবেন তার চাহিদা থাকতে হবে এবং সেই সামগ্রীতে লাভ থাকতে হবে। এর বাইরে, অল্প marketing এবং বুদ্ধি লাগিয়ে আপনি নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে।
এরকম অনলাইনে সামগ্রী বিক্রি করে আজ, flipkart, amazon এবং snapdeal এদের মতো shopping ওয়েবসাইট গুলি আজ কোটি কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছে। তাই, আপনিও যদি কিছু লাভের এবং নতুন রকমের business আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের দ্বারা জিনিস বিক্রি করার ব্যবসা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে। আপনি, YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে এই business এর ব্যাপারে সবটাই জেনে নিতে পারবেন।
Blogging দ্বারা অনলাইন ব্যবসা: আপনি যদি ঘরে বোসে অনলাইন business করতে চান তাহলে blogging বিজনেস আপনার জন্য অনেক ভালো একটি বিজনেস প্রমাণিত হবে। আজ, লক্ষ লক্ষ লোকেরা কেবল একটি ব্লগ বানিয়ে নিজের ঘরে বোসে কাজ কোরে টাকা আয় করছেন।
কেবল টাকা আয় করাটাই বোরো কথা না, কিন্তু আপনি blogging এর মাধ্যমে ঘরে বোসে অনলাইন আয় করতে পারবেন। আর, যদি আপনার ব্লগ লোকেদের ভালো লাগে এবং ব্লগ টি যদি success হয়ে যায়, তাহলে আপনি ভাবতেও পারবেননা যে কতটা ইনকাম আপনার হবে।আসলে, ব্লগ থেকে আয় করাটা অনেক সোজা যদি আপনি তাকে ভালোকোরে করতে পারেন।
আপনার একটি ব্লগ বানাতে হয় যেটা আপনি blogger ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি তে বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপর আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি যেকোনো জিনিসের বিষয়ে লিখতে পারবেন আপনার যা ভালো লাগে এবং লোকেদের যা ভালো লাগে। যখন আপনি ভালো ভালো আর্টিকেল নিজের ব্লগে লিখবেন তখন google এবং yahoo র মতো সার্চ engine থেকে আপনার ব্লগে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসবে।
আর, যখন একটু ভালো সংখ্যাতে আপনার ব্লগে traffic বা visitors আসবে তখন আপনি Google adsense এর দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি বিশ্বাস করেন, আজ দুনিয়াভরে হাজার হাজার লোকেরা ব্লগ এবং Google adsense এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছে।
Blogging business জেকেও করতে পারে। আপনি যদি student, housewife, retired বা part-time টাকা আয় করতে চান আপনি ব্লগ বানিয়ে তাকে business হিসেবে part-time বা full-time করতে পারবেন। এতে আপনার বেশি টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি এই অনলাইন ব্যবসাটি এক টাকা খরচ না করেই আরম্ভ করতে পারবেন। Blogging এর বেপারে অধিক জন্য আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন – ব্লগ মানে কি ? ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন
৫. YouTube চ্যানেল দ্বারা অনলাইন business: যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাহলে YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাকে একটি ভালো business হিসেবে চলতে পারবেন।ব্লগের মতোই ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপনি ঘরে বোসে টাকা আয় করতে পারবেন।
এই business এ আপনি কোনো পুঁজি না লাগিয়েই নামতে পারবেন। বাস, আপনার নিজের ট্যালেন্ট এবং ভালো ভালো ভিডিও বানানোর যোগ্যতা থাকতে হবে। YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। কিন্তু, মনে রাখবেন এই ব্যবসা থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার কিছু সময় দিতে লাগবে।
আপনি যদি অল্প সময় দিতে পারেন, ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম করার chance হয়ে উঠবে। আর, তার পর থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কিভাবে ইউটিউবে থেকে টাকা আয় করা যায় ? জানুন এখানে।
৬. মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকান: আপনি যদি অনেক কম টাকায় ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তাহলে একটি ছোট্ট মোবাইল রিচার্জ দোকান শুরু করতে পারেন। আজকাল, মানুষের হাথে হাথে মোবাইল আছে এবং তারা দোকানে গিয়ে রিচার্জ অবশই করবে। তাই, আপনি এই business টি অনেক কম পুঁজিতে এবং অনেক ছোট দোকান নিয়ে আরম্ভ করতে পারবেন। আপনার মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে কেবল ১০ থেকে ১৫ হাজার খরচ হতে পারে।
আপনি সব network কোম্পানির রিচার্জ কার্ড রাখার সাথে সাথে prepaid এবং postpaid sim বের কোরানুর কাজ করতে পারেন। এতে আপনার extra ইনকাম হবে। তা ছাড়া, postpaid বিল জমা কোরানু, মোবাইলের cover, head phone এবং মোবাইলের কিছু মাল পত্র (accessories) নিজের দোকানে রাখতে পারেন। যখন আপনার দোকান থেকে ইনকাম হওয়া শুরু হবে তখন ছোট খাটো মোবাইল এবং আরো অন্য মাল পত্র দোকানে রাখা শুরু করেদিবেন।
৭. Ice-cream parlor এর দোকান: আজকাল অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া ভোরে রয়েছে। সেরকম একটা ছোট ব্যবসা হলো ice-cream parlor এর দোকান দেওয়া। হে আপনি ঠিক শুনেছেন। আজকাল মানুষ নিজের কাজ কর্ম এবং পড়া-শোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। তাই, লোকেরা ice-cream parlor এর মতো খোলা মেলা জায়গা ভালো বাসেন যেখানে অল্প সময় বসে তারা নিজের মাথা এবং মন তাজা (fresh) করতে পারে।
আপনি এমন একটা জায়গা খুঁজতে হবে যেখানে লোকের আশা যাওয়া বেশি। বিশেষ করে, কোনো স্কুল-কলেজ, মার্কেট এরকম জায়গায় একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে তাতে ice-cream parlor খুলতে হবে। মনে রাখবেন তাতে এতটুকু জায়গা হতে হবে যে কয়েকজন লোক এসে বসতে পারেন কোনো restaurant এর মতো।
ব্যাস, তারপর নিজের দোকানে ভালো ভালো ice-cream এনে রাখুন এবং নিজের গ্রাহকদের খাওয়ান। যখন লোকেদের আপনার parlor এ এসে বোসে এবং ice-cream খেয়ে ভালো লাগবে তখন তারা বার বার আপনার দোকানে আসবে।
Ice-cream parlor business করতে আপনা কেবল একটি ভালো জায়গায় একটি দোকান নিতে হবে এবং ice-cream রাখার জন্য একটি fridge নিতে হবে। এর বাইরে লোকেদের বসার জন্য table এবং chair ও রাখতে হবে। এগুলো কিনতে আপনার বেশি টাকা খরচে হবেনা এবং কম টাকা দিয়ে আপনি এই বিজনেসটি start করতে পারবেন।
৮. Fast food truck / stall: আজকাল লোকেরা বাইরে tasty বা স্বাদের খাবার (fast food) খেয়ে অনেক ভালো বাসে। তাই, এই fast food এর ব্যবসা আজকাল অনেকটাই লাভজনক এবং কম টাকা দিয়ে আপনি আরম্ভ করতে পারবেন। নিজের stall বা দোকানে আপনি অনেক রকমের মোমো, চাওমিনে, চপ, পাও ভাজি, ধোসা, ঘুগনি, কফি আদি খাবার লোকেদের খায়িয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
এই ব্যবসা আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে start করতে পারবেন। আপনার খাবার বানানোর কিছু জিনিস লাগবে এবং একটি কারিগর যে খাবার বানাবে। তারপর একটি দোকান বা truck (খাবারের গাড়ি) যেটা দিয়ে আপনি জাগায় জাগায় গিয়ে লোকেদের খাবার খাওয়াতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আপনি যদি এই fast food খাবার ব্যবসা একটি দোকান নিয়ে করেন তাহলে কেবল একটি জাগার থেকে লোকেরা (customer) আসবেন। এবং, যদি আপনি এই ব্যবসা একটি ছোট্ট ট্রাক (truck) এ শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক জায়গায় গিয়ে গিয়ে নিজের খাবার বিক্রি করতে পারবেন। এতে লোকেরা আপনাকে চিনবে জানবে এবং আপনার বেশি বিক্রি হবে।
৯. Xerox এবং printing store: আপনি যদি ভাবছেন যে অনেক কম পুঁজিতে কি ব্যবসা করা যেতে পারে, তাহলে xerox এবং printing এর দোকান দেয়ার কথা আপনি ভাবতে পারেন। আজকাল লোকেরা ছোট খাটো থেকে বড়ো বড়ো কাজে xerox এবং প্রিন্টিং এর দোকান খোঁজে। স্কুলের বাচ্চাদের এবং অফিসে কাজ করা লোকেদের অনেক রকমের project থাকে এবং তারা দোকানে গিয়ে নিজেদের বানানো project print করেন।
তাই, এই ছোট ব্যবসার আইডিয়া দিয়ে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এর বাইরেও, আপনি নিজের দোকানে লোকেদের জন্য bio-data (resume) বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এই business এ আপনার অল্প টাকার প্রয়োজন হবে। আপনার একটি ছোট্ট দোকান, একটি computer, printer এবং xerox মেশিনের প্রয়োজন হবে। তারপর আপনার দোকানে customer আসতে থাকবে আর আপনি নিজের হাতের কাজ দিয়ে টাকা আয় করতে থাকতে পারবেন। তারপর আপনার আর কোনো বিশেষ খরচ থাকবেনা।
১০. Tuition class এবং centre : আপনি যদি tuition করিয়ে ভালো পান তাহলে এটাকে আপনি নিজের একটি professional career বানিয়ে নিতে পারবেন। Tuition বলতে খালি পড়াশোনা নয়, আপনি যদি গান শিখাতে চান, drawing শিখাতে চান, guitar শিখাতে চান বা যেকোনো বাজনা (instrument) শিখাতে, চান আপনি তা tuition এর মাধ্যমে শিখাতে পারবেন।
এই tution profession টি আপনি তখন একটি career হিসাবে নিতে পারবেন যখন এইটা বড়োভাবে করা যাবে। মানে, একটি বোরো ঘর (room) নিয়ে তাকে tuition centre বানিয়ে তাতে class করানো। এইভাবে tuition টাকে আপনি একটি career বানিয়ে তাকে ভালো ইনকামের মাধ্যম আপনি বানিয়ে নিতে পারবেন। এখানে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন ও নেই। আপনি খালি একটি ঘর (room) নিবেন বাকিটাতো আপনি যা নিজে জানেন তা students দের শিখবেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।