জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ। এই অঞ্চলের মাটি করলাসহ অন্যান্য সবজি চাষের উপযোগী। তাই এই জেলার প্রায় ২০ গ্রামের কৃষকরা হাইব্রিড করলা চাষ করে সফল হচ্ছেন। ফলনের সফলতার পাশাপাশি বাজারে করলার দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষক।
জানা যায়, উপজেলার মারুপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলান্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, বেগুনবাড়ি, শালিকাদহ, উত্তর দেবীপুর, রঘুনাথপুরসহ ২০ গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক কৃষক করলা চাষ করছেন। বর্তমান কৃষকরা করলা সংগ্রহ ও বাজারজাত করনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার কৃষ্ণরামপুর সোনারপাড়া গ্রামের ইয়ামিন ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১ একর জমিতে করলার চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ করলা ২০০০-২২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। বাজারদর এমন থাকলে ২ লাখ টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী বলেন, করলা চাষে গাছের খুব যত্ন নিতে হয়। ভালো করে পরিচর্যা করলে বেশি ফলন পাওয়া যায়। করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। করলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য ফসলের থেকে করলা চাষে লাভ করা যায় বেশি। ফলন ও বাজারদর ভালো থাকলে লোকসান গুনতে হয় না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, জমি থেকে করলা উঠানোর পর কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু ও পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগাতে পারবেন। এতে কৃষকের আর বসে থাকতে হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এখলাছ হোসেন সরকার জানান, গত বছর এই উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হলেও এবছর ২০ হেক্টর বেড়ে ৮৫ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।