জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমে নিরীহ। ধীরে ধীরে ভয়াবহ। নভেল করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশের অভিজ্ঞতা এমন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২। এটি নিশ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর মুখে হাত দিলে।
শুরুতে এটি গলা, শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরও কোষকে আক্রান্ত করে।
এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।
দশজনের আটজন মানুষের জন্যই কভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর।
শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এক সময় ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই।
এর কারণে শরীরে ব্যথা ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করে, যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে।
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে।
এই ধাপটি এক সপ্তাহের মতো স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে।
সাতদিনের ভেতর সুস্থ না হলে প্রচণ্ড জ্বর আসে। কাশি বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।