জুমবাংলা ডেস্ক : মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওসমান গনি বলেন, উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামে আজ একজন করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তি মারা গেছেন। পরীক্ষার জন্য তার স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, ফল আসেনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ক্ষেত্রে মুজিবনগরের জন্য আলেমদের নিয়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এটি করে দিয়েছে। তাদেরকে একদিন আমার অফিসে ডেকে ব্রিফিংও করা হয়েছে।
আজ মৃত ব্যক্তির দাফনের জন্য সেই পাঁচজনসহ মোট ছয়জন আলেমকে ডাকা হয়। করোনা সন্দেহে মৃত্যুর কথা শুনে পাঁচজন সদস্যই অপারগতা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, আগে থেকে তাদের বলা হয়নি, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে দাফন করতে হবে। আমি তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম, যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি হয়ত করোনা আক্রান্ত না, শুধু সন্দেহের কারণে স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়া এই কমিটি তো শুধু করোনার কারণে মৃত্যু বা করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য গঠন হয়েছে। তারপরও নানা অজুহাতে তারা একজন-দুইজন করে আমার কক্ষ ত্যাগ করে চলে যান। আমরা তখন খুব বিপদে পড়ে যাই এবং অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে পড়ি।
তখন ডিসির সঙ্গে আলোচনাক্রমে আমি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আল্লাহর ওপর ভরসা করে তিনজন একসঙ্গে লাশ দাফনের জন্য যাত্রা করি।
আলেমদের জন্য আনা পিপিই স্থানীয় মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের মধ্য থেকে চার যুবককে পরানো হয়। জানাজা পড়ানোর জন্য আমরা নিজেরাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু, শেষ মুহুর্তে গোপালনগর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম এসে জানাজায় ইমামতি করেন। অনেক ধন্যবাদ তাকে।
আমরা তিনজন কর্মকর্তা ও পাঁচজন যুবক মিলে লাশ দাফন করলাম।
শুধু একটি বিষয় অজানা রইলো,পাঁচজন আলেম আমাদের কী শিক্ষা দিয়ে গেলেন, তা বুঝতে পারলাম না। পাঁচজনই অপারগতা প্রকাশ করে চলে গেলেন!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।